বৃহস্পতিবার ● ১৫ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » কেশবপুরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করনে পল্লী চিকিৎসকদের উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা
কেশবপুরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করনে পল্লী চিকিৎসকদের উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা
এম. আব্দুল করিম,কেশবপুর থেকে:
যশোরের কেশবপুরে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পল্লী চিকিৎসকদেরকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেনের নির্দেশনায় স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ জরুরী সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা পল্লী চিকিৎসকদের বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
কেশবপুর উপজেলায় প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। তেমনি বেড়েছে সংক্রমন ও করোনা উপসর্গে মৃত্যুর মিছিল। গ্রামের মানুষের নমুনা পরিক্ষায় অনিহার কারণে প্রতিদিনই ঘাতক ব্যাধী করোনা ভাইরাসের উপসর্গ জ্বর সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মারা যাচ্ছে একাধিক মানুষ। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। তাই কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও প্রকৃত কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগী শনাক্ত করণের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৌরসভা সহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে করোনা প্রকিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে পল্লী চিকিৎসকদেরকে নিয়ে জরুরী সভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন, সাগরদাড়ী, মজিদপুর, বিদ্যানন্দকাটি, মঙ্গলকোট, কেশবপুর সদর, পাঁজিয়া, সুফলাকাটি, গৌরিঘোনা, সাতবাড়িয়া ও হাসানপুরসহ ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা সকল পল্লী চিকিৎসকদের নিয়ে জরুরী সভায় যেসব নির্দেশনা প্রদান করা হয় তা হলো পল্লী চিকিৎসকদের কাছে আসা জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য রোগী দেখা এবং জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীকে প্রাথমিক পর্যায়ে তারা যে ধরনের পরামর্শ প্রদান করবেন সে বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়। সর্বোপরি কোনভাবেই যাতে তারা এ সকল রোগীকে কোভিড-১৯ এর টেস্ট করার পরামর্শ ছাড়া নিজেদের কাছে চিকিৎসা সেবা দেয়ার নামে কালক্ষেপণ না করেন সেজন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।