শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ১৯ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » টানা বৃষ্টিতে মোংলা বন্দরে কাজ বন্ধ, তলিয়ে গেছ ৪৯৫টি চিংড়ি ঘের
প্রথম পাতা » বিবিধ » টানা বৃষ্টিতে মোংলা বন্দরে কাজ বন্ধ, তলিয়ে গেছ ৪৯৫টি চিংড়ি ঘের
২৯২ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৯ অক্টোবর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

টানা বৃষ্টিতে মোংলা বন্দরে কাজ বন্ধ, তলিয়ে গেছ ৪৯৫টি চিংড়ি ঘের

---


মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা 

টানা বৃষ্টি, বাতাস ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আজ মঙ্গলবার মোংলা বন্দরের আউটারবার ও ইনারবারে অবস্থানরত ২০ টি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে বন্দর জেটির কন্টেইনার ও কার ইয়ার্ডের কাজ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, বৃষ্টিতে আজ বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে জেটিতে কাজ চলছে। আবহাওয়া ভাল হলে পুনরায় জাহাজের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করায় সোমবার মোংলা সমুদ্রসহ উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত জারি করে আবহাওয়া অফিস, যা আজও বহাল রয়েছে। তবে আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিরাজমান থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে সিগনাল কমবে না উঠে যাবে তা জানা যাবে মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু এন্ড সন্সের মালিক এইচ এম দুলাল ও মায়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আহসান হাবিব হাসান বলেন, বৃষ্টিতে জাহাজের কাজ বন্ধ থাকায় পণ্য খালাস করে নির্দিষ্ট সময়ে বন্দর ত্যাগ করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন বিদেশী জাহাজ মালিকেরা। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোও। কারণ কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকদেরকে জাহাজে বসিয়ে বসিয়ে মজুরি দিতে হচ্ছ। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠান জাহাজ থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের নামিয়ে আনায় তারা বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীসহ খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা।

তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে মোংলার চাঁদপাই, চিলা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ছোট-বড় প্রায় ৪শ ৯৫টি চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, সকল ইউনিয়নে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘেরের সংখ্যা আরো বাড়বে।

এদিকে রাত-দিনের একটানা বৃষ্টিতে পৌর শহরসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা জুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বাড়ীঘর ও পুকুরসহ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও। উপজেলা পরিষদ চত্বর জুড়ে পানি থৈ থৈ করছে। বৃষ্টি ও জোয়ারে নদী-খাল ভরা থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে পারছেনা।

পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান বলেন, বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি ড্রেন ও খাল দিয়ে এ পানি নামানোর।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)