শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » কেশবপুরের সাগরদাঁড়ীতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮ তম জন্মজয়ন্তী পালিত
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » কেশবপুরের সাগরদাঁড়ীতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮ তম জন্মজয়ন্তী পালিত
৩০৩ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেশবপুরের সাগরদাঁড়ীতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮ তম জন্মজয়ন্তী পালিত

এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর থেকে : ---দাড়াও পথিক বর জন্ম  যদি তব! বঙ্গে তিষ্ঠ ক্ষণকাল!  এসমাধী স্থলে (জননীর  কোলে  শিশু লভয়ে যেমতি বিরাম) মহীর পদে মহা নিদ্রাবৃত দত্তকুলোদ্ভব কবি শ্রী মধুসুদন! যশোরের সাগরদাঁড়ী কপোতাক্ষ তীরে জন্মভূমি, জন্মদাতা দত্ত মহামতি রাজনারায়ণ নামে জননী জাহ্ণবী ‎! যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ীতে ২৫ জানুয়ারী বাংলা সাহিত্যের কাল জয়ী মহাপুরুষ যুগশ্রেষ্ঠ অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের ১৯৮ তম জন্মজয়ন্তী অনাড়ম্বর ভাবে পলিত হয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে কবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এবারও হবেনা মধুমেলা । নেই কোন যাত্রা, সার্কাস, যাদু প্রদর্শনী কৌতুক  পুতুল নাচ, কৃষিমেলা, নেই কোন প্রসাধনী বা  অন্য কোন পণ্যের স্টল।

২৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকালে প্রধান অতিথি হিসাবে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম মধুপল্লী অভ্যন্তরে কবির প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) হোসাইন শওকত, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) আরিফুজ্জামান, থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দিন ও মধুপল্লীর কাস্টডিয়ান আইরিন পারভীন প্রমুখ। পরে ভার্চুয়ালী একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সাধামাঠা ভাবে ২৫ জানুয়ারী কবির জন্ম দিনে শুধু মাত্র কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্পন ও ভার্চুয়ালী আলোচনার মধ্য দিয়ে এক দিনেই শেষ হয় জন্মজয়ন্তীর সকল আয়োজন।

১৮২৪ খ্রীষ্টাব্দে ২৫ জানুয়রি মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ী গ্রামে কপোতাক্ষ তীরে বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন । তার পিতা জমিদার ও আইনজীবি রাজনারায়ণ দত্ত, মাতা জাহ্ণবী দেবী। মধুসূদন শৈশবে শিক্ষক হরলাল রায় ও সাগরদাঁড়ী শেখপুরা গ্রামের মৌলভী খন্দকার মখমল আহম্মেদের কাছে বাংলা ও ফারসি শিক্ষা লাভ করেন। সগরদাড়ীতে শৈশব কটিয়ে তিনি তার জন্মের ১০ বছর পর কলকাতার খিদিরপুরে  চলে যান সেখানে বিভিন্ন ভাষায় জ্ঞানার্জন করেন। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আবার তার জন্ম ভূমি সাগরদাড়ীতে ফিরে আসেন। এরই মধ্যে তিনি মহাকাব্য মেঘনাথ বধ, ব্রজঙ্গনা, বীরঙ্গনা ও তিলোতমা সম্ভব রচনা করেন। ১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দে ২৯ জুন কলকাতায় এই বরেণ্য কবি মৃত্যু বরন করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)