রবিবার ● ২৬ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » কয়রায় পল্লীবিদ্যুতের ভেলকিবাজী; ভোগান্তি চরম পর্যায়ে
কয়রায় পল্লীবিদ্যুতের ভেলকিবাজী; ভোগান্তি চরম পর্যায়ে
অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ খুলনার কয়রা উপজেলায় বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ লোডশেডিং হয়েই চলেছে। এ লোডশেডিং দুই-এক দিনের নয়, নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে কয়রাবাসীর। উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৫নং কয়রা সহ সব কয়টি ইউনিয়নে চলছে লোডশেডিং এর ভেলকিবাজী। ভোর সকালে বিদ্যুৎ থাকে না সর্বনিম্ন দুই ঘন্টা কোনো কোনদিন উপরে গেলে আড়াই ঘন্টা - তিন ঘন্টাও কেটে যায়।
সারাদিনের হিসেবে দেখা যায় পাঁচ থেকে ছয় বার কখনো কখনো তার বেশিও লোডশেডিং হচ্ছে এ উপজেলাতে। সন্ধা রাতে, মাঝ রাতে সব মিলিয়ে চব্বিশ ঘন্টার হিসেব করলে দেখা য়ায় বারো ঘন্টা তেরো ঘন্টাই বিদ্যুৎ থাকেনা।
এছাড়াও হালকা বাতাস ও একটু মেঘ করলেই হারিয়ে যায় বিদ্যুৎ। স্থানীয়রা জানায় একাধিকবার কয়রা সাব-জোনাল অফিসে মোবাইল ফোনে কল করে অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার ।
হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ না থাকায় কয়রার অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম, সাধারন মানুষ, ব্যাবসায়ীসহ ছাত্র/ছাত্রী পড়ছে বেশি ভোগান্তিতে । কয়রা শাকবাড়ীয়া স্কুল এণ্ড কলেজের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট আকরাম হোসেনসহ কয়রার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইসিটি শিক্ষকবৃন্দ ক্ষোভের সাথে জানান, সপ্তাহ খানেক আগের কথা বিদ্যালয়ের অর্দ্ধ বার্ষিক পরীক্ষার বোর্ডের প্রশ্ন লোডশেডিং-এর কারণে সময়মত ডাউনলোড করতে না পারায় পরীক্ষা গ্রহণ করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোজ রায় বলেন, মারাত্মক লোডশেডিং -এর কারণে বোর্ডের প্রশ্ন আপলোড করতে না পারায় ২টি পরীক্ষা পরের শুক্রবারে ছুটির দিনে পর্যন্ত গ্রহণ করতে হয়েছে।
এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তি জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে অফিসের নাম্বার বেশীরভাগ সময় কল করে বন্ধ পাওয়া যায় এবং কথা হলেও ট্রান্সমিটার ছিঁড়ে গেছে, গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছে এই অজুহাত ছাড়া সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানাযায়না ঘন-ঘন লোডশেডিং হওয়ার। পল্লীবিদ্যুত অফিসের ০১৯১০-৬২৬৭৮৬ নম্বরে একাধিক বার যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পল্লীবিদ্যুতের এ ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কয়রা উপজেলা বাসী।