মঙ্গলবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » কয়রায় সংখ্যালঘুর মৎস্য ঘেরে ক্ষতি সহ জবর দখল করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কয়রায় সংখ্যালঘুর মৎস্য ঘেরে ক্ষতি সহ জবর দখল করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনা ঃ কয়রায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মৎস্য ঘেরে ক্ষতি করা ও জবর দখল করার চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বিনাপানি গ্রামের মৃত শিবনাথ মণ্ডলের পুত্র ও কয়রা উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি জ্যোতি প্রসাদ মণ্ডল।
১০ জানুয়ারী ৩ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমি কয়রা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস হতে ভিপি লিজ কেস নং-১৭/৭৮-৭৯ কেস ১৪২৮ সন পর্যন্ত ডিসিআর নবায়ন করিয়া উক্ত জমিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে দীর্ঘদিন ধরিয়া হলুদবুনিয়া গ্রামে ঘের করিয়া মৎস্য চাষ করিয়া ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। আমার প্রতিপক্ষ রেজোওয়ান গাজী গংদের তপশীল বর্ণিত সম্পত্তিতে কোন ভাগ দখল নাই। তারপরও আমার মৎস্য ঘেরটি দখল করে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে । গত ৫/৯/২১ তারিখ জোরপূর্বক আমার ঘেরের বাসা ভাংচুর করলে আমি সহকারি পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) অফিসে অভিযোগ করলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন কয়রা থানায় জমা দেন। এ ছাড়া একাধিকবার কয়রা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় তাদের বিরুদ্ধে। গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে আমার ঘেরের আটন মাছসহ উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। এরপর আবারও গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে ৩/৪ জন মুখে কালো কাপড় বেঁধে এসে আমার ঘেরের কর্মচারীকে জোরপূর্বক বেঁধে রেখে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘেরের রাস্তা কেটে দিয়ে দড়া জাল টেনে মাছ মেরে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি কয়রা থানা পুলিশ প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে অবহিত করি।
সর্বশেষ গত ৮ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে রেজোওয়ান গাজী (দক্ষিণ বেদকাশী), শফিকুল গাইন ও শফি গাইন (হলুদ বুনিয়া), ডালিম শেখ ও বেল্লাল শেখ (চরামুখা) সহ আরও ২/৩ জন একযোগে বআইনীভাবে আমার মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে পানি সেচার কাজে বাধা প্রদান করে। তাতে তারা ক্ষ্যান্ত না হয়ে দ্বিতীয় দফায় তারা আরও ১০/১৫ জন লোক একত্র হয়ে পূনরায় আমার ঘেরের মেশিন বন্ধ করে দিয়ে ঘেরের মাছ জাল টেনে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। এ ছাড়া ঘেরে থাকা নৌকাটা ভাংচুর করার পাশাপাশি ঘেরের বাসা তসরুপ করে জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পানি সেচার মেশিন বন্ধ করে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে যে মামলা রয়েছে তা উঠায়ে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এতে করে আমার দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এরআগে ২০২১ সালে ৫ লক্ষাধীক টাকার মাছ ধরে নিয়ে ক্ষতি করে ।এ বারের বিষয়টি আমি স্থানীয় কাটকাটা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদেরকে অবহিত করি। আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় বারবার আমার মৎস্য ঘেরটি জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা করছে। সেই থেকে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার পায়তারা চালাচ্ছে তারা। ভবিষ্যতে আমাকে তারা আরও ক্ষতিসাধন করতে পারে। বিধায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।