শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আগামী বছর মাগুরায় রেল চালু হবে
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আগামী বছর মাগুরায় রেল চালু হবে
৪২ বার পঠিত
বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আগামী বছর মাগুরায় রেল চালু হবে

---

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা থেকে ফরিদপুর মধুখালী স্বপ্নের রেল পথ চালু হবে আগামী বছরের প্রথম দিকে এমনটাই আশা প্রকাশ করেছে ঠিকাদারী  প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কনস্ট্রাশন কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।  মধুখালী থেকে কামার খালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ব্রড গেজ রেল লাইন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর ২২ মাসে প্রকল্পের ৪৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানান হয়েছে ,২০২৫ সালের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। মাগুরা অংশে অধিগ্রহণ করা জমি এখনো বুঝে না পাওয়ায় কাজ কিছুটা ধীর গতিতে এগুচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক।

রেল পথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,২০১৮ সালে চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ ও করোনা প্রাদুর্ভাবসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মে মাসে। ওই বছরের ২৭ মে ভার্চুয়ালী ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান মন্ত্রী।

সরে জমিনে গত বুধবার  মধুমতী নদীতে নির্মানাধীন রেল সেতুর মাগুরা প্রান্তে গিয়ে দেখা যায়, পিলার নির্মানের কাজ চলছে। ইতি মধ্যে বেশ কিছু পিলার দৃশ্যমান হয়েছে। মধুখালী অংশে পুরনো রেললাইন সংস্কারের কাজ চলছে। ওই অংশে বেশি কিছু বক্স কার্ল্ভার্ট নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে। তবে মাগুরা অংশে দৃশ্যমান কাজ দেখা যায়নি। এ কাজের অংশ হিসেবে মাগুরার ঠাকুরবাড়ি এলাকায় নতুন একটি রেলস্টেশন নির্মাণ হওয়ার কথা। সেখানে গিয়ে দেখা যায় কিছু নির্মান সামগ্রী এনে ফেলা হয়েছে। তবে রেলষ্টেশন নির্মান কাজ শুরু হয়নি।

জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক আসাদুল হক জানান, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। এখন দ্রæত গতিতে কাজ এগুচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও খরচ বাড়েনি। মধুমতী নদীতে রেল সেতুসহ পুরো প্রকল্পের ৪৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যে এখানে রেল চলা চল শুরু হবে’। এখনো মাগুরা অংশে অধিগ্রহণ করা বেশির ভাগ জমি বুঝে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এটাকেই এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এই কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা অংশে রেল প্রকল্পে অধিগ্রহণ করা জমির পরিমাণ ১০৭ একরের মতো। যার মুল্য প্রায় ১১৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে অধিগ্রহণ করা এসব জমির বিপরীতে ক্ষতি গ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত দুদ ফায় ১ দশমিক ৯৬ একর জমির ক্ষতি পূরণ হিসেবে প্রায় দেড় কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন,‘জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকয়েক ধাপে সম্পন্ন হয়। নানা জটিলতা কাটিয়ে আমরা ক্ষতিগ্র্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ শুরু করেছি। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা চাইলেএখন স্টেশনের কাজ শুরুকরতে পারবে। ঈদের আগে আরও কিছু জমি তাঁদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এর পর ধাপে ধাপে রেল লাইনের জমির শিগগিরই বুঝিয়ে দেওয়া হবে’।

প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় মধুখালীথেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ, কামারখালী ও মাগুরা স্টেশনইয়ার্ডে ৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণ, দুটি নতুন স্টেশন (কামারখালী ও মাগুরা) নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৪৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯দশমিক ৯কিলোমিটার ব্রড গেজ রেল পথনির্মাণ করছে কাজী নাবিল আহমেদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেলকন স্ট্রাশন কোম্পানি লিমিটেড। অপর দিকে মধুমতী নদীর ওপর ২ হাজার ৪১২মিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতু নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে ৪৪৯ কোটি টাকায়। এ কাজের ঠিকাদারি পেয়েছে মীর আক্তার কনস্ট্রকশন লিমিটেড। বাকি অর্থ ব্যয় হবে জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)