শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ৩০ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » মুক্তমত » পাখির অভয়ারণ্য পাইকগাছা
প্রথম পাতা » মুক্তমত » পাখির অভয়ারণ্য পাইকগাছা
১৩৭ বার পঠিত
সোমবার ● ৩০ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাখির অভয়ারণ্য পাইকগাছা

---
পাখির অভয়ারণ্য পাখি সংরক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসবাস করে এবং তাদের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধি ঘটে। এই স্থানগুলি পাখিদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সরবরাহ করে, যেখানে তারা শিকারী প্রাণী এবং পরিবেশগত পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকে। পাখির অভয়ারণ্য এমন একটি স্থান, যেখানে বন্য পাখি এবং তাদের আবাসস্থলকে রক্ষা করা হয়। এখানে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়, প্রজনন ক্ষেত্র এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

পাখিরা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া বা শিকারের কারণে অনেক পাখি বিলুপ্তির পথে। তাই, অভয়ারণ্যগুলো পাখিদের প্রজাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অভয়ারণ্যগুলো তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে পরিবেশ সুরক্ষায় সাহায্য করে।

খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলা, যেখানে পাখি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবি ২০১৬ সাল থেকে পাখি সুরক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং পাখির নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাখির জন্য গাছে গাছে মাটির পাত্র স্থাপন,পাখি শিকার রোধে লিফলেট বিতারণ, গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং মাঠসভা আয়োজন। উপজেলাকে পাখির অভয়ারণ্য ও বিভিন্ন গ্রামগুলিকে পাখির গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।

পাইকগাছায় পাখি সংরক্ষণের জন্য পাখিদের নিরাপদ প্রজনন ও আবাসনের জন্য বিভিন্ন গাছে মাটির পাত্র, ঝুড়ি ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। গাছের অপ্রতুলতার কারণে অনেক সময় পাখিরা আবাসস্থল সংকটে পড়ে। তাই, পাইকগাছায় গাছে মাটির হাঁড়ি, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কৃত্রিম বাসা তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। গ্রীষ্ম কালে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ পাখির জন্য খোলা পাত্রে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাখিরা সহজে যাতে পানি পেতে পারে তার জন্য প্রতিদিন সকালে পাত্রে পানি পূর্ণ করে রাখা হচ্ছে।

পাখির গ্রামগুলোর পাখিদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং তাদের সুরক্ষার জন্য গ্রামবাসীদের সচেতন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিকারীদের উপর নজরদারী রাখা হয় যাতে পাখিরা নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারে।

পাখি শিকার রোধ এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা হয়। পাখি সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। স্কুলে- কলেজে শিক্ষার্থীদের পাখি সংরক্ষণে আলোচনা সভা, স্থানীয় জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে পাখি সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে মাঠসভা করা হয়। এই সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে পাইকগাছায় পাখি ও পরিবেশ সুরক্ষায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)