মঙ্গলবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » মুক্তমত » প্রতিশ্রুতি দিবস
প্রতিশ্রুতি দিবস
১ জানুয়ারি কমিটমেন্ট ডে বা প্রতিশ্রুতি দিবস। প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি দিবসটি উদযাপন করা হয়। দিবসটি উদযাপনের সেরা উপায় হলো, অন্যকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। কাউকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে মানুষ একদিকে যেমন খুশি হয়, অন্যদিকে প্রতিশ্রুতি না রাখলে বিপরীত পাশের মানুষটি কষ্টও পায়। তাই প্রতিশ্রুতি দিলে তা অবশ্যই রাখার চেষ্টা করুন।
কমিটমেন্ট শব্দের অর্থ হলো অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি বা নিষ্ঠা। কোনো কাজ করার জন্য কাউকে কথা দেওয়া বা চুক্তিবদ্ধ হওয়া। সম্পর্কের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ এবং বিশ্বস্ত থাকা। কোনো লক্ষ্য পূরণ বা কারো সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকাই হলো কমিটমেন্ট।
প্রতিশ্রুতি দিবসে বিশেষ ব্যক্তিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করে তাকে বুঝিয়ে দিতে পারেন আপনি তার প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর সে আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো সম্পর্কে ওই ছোট ছোট প্রতিশ্রুতি এবং বিশ্বাসই বদলে দেয় সম্পর্কের সমীকরণ। বিশেষ ব্যক্তিকে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাবে না, যা আপনি পালন করতে পারবেন না। মিথ্যে আশা কখনোই দেওয়া ঠিক নয়। মিথ্যে সব কিছু শেষ করে দিতে পারে।
প্রতিশ্রুতি দিবস অনেক বছর ধরে চলে আসছে। ১৯৬০ সালে প্রথম প্রতিশ্রুতি দিবস পালন করা হয়। তাও আবার ইংরেজি নববর্ষের রেজোলিউশন হিসেবে। সেই থেকে এখনো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। আর এই দিবসটির অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে নতুন বছরে তার পুরনো প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া।
প্রতিশ্রুতিগুলোই আমাদের সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে। সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিশ্রুতি। নিজেদের সম্পর্ককে আরও মজবুত আঁটসাট করতে এর থেকে ভাল উপহার আর হয়না। প্রেম মানেই প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকার ও বিশ্বাস।
প্রিয়জন, বন্ধু বা পরিবারের সাথে সম্পর্ককে মজবুত করতে এবং একে অপরের প্রতি অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞা করে। এটি কেবল রোমান্টিক সম্পর্ক নয়, বরং যেকোনো সম্পর্কের প্রতি আনুগত্য ও অঙ্গীকারের প্রতীক।
ভালবাসার অনেক প্রতিশ্রুতিই তো আমরা দিই, কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনটা দুঃখময় হয়ে যায় । অবসাদ, বিরক্তি ঠিকভাবে খুশিতে থাকতে দেয় না। কারণ খুশিতে থাকতে গেলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজেদের মধ্যে কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া, আর সেই প্রতিশ্রুতি মেনে চলা। তাহলেই দৃঢ় হবে আত্মবিশ্বাস, সুন্দর হবে দুটি মন, দুটি হৃদয়। এই দিনে মানুষ একে অপরকে সারাজীবন পাশে থাকার, বিশ্বাস রাখার এবং একে অপরকে না ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ছোট ছোট প্রতিশ্রুতি এবং বিশ্বাস সম্পর্কের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। বিপদে-আপদে সবসময় পাশে থাকার অঙ্গীকার। একে অপরের প্রতি সৎ ও বিশ্বস্ত থাকার প্রতিশ্রুতি। সঙ্গীর ছোট ছোট ইচ্ছা ও খুশির খেয়াল রাখার কথা দেওয়া।
প্রতিশ্রুতি সব সময় রক্ষা করা যায় না। এরপরও প্রতিশ্রুতি ব্যাপারটি সুন্দর। জীবনের বৈচিত্র্য আর উত্থান-পতনের গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক। স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের মাঝামাঝি যেন এক অনিন্দ্য সেতুবন্ধ। কখনো বা বেঁচে থাকার উপলক্ষও।সম্পর্কের ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এবং একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার করার জন্য এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।






মানুষের আনন্দ আতশবাজির বিকট শব্দ ও উজ্জ্বল আলোয় আতঙ্কিত প্রাণকিূল
ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন ও উপকূলীয় বালুচরের নিচে আছে মিঠাপানির ভান্ডার
শীতে প্রকৃতির রূপ
শীতে গৃহহীনদের দুর্বিষহ জীবন
শীতের সবজি কৃষক ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ
প্রাকৃতিক ভারসাম্য, সৌন্দর্য ও উন্নয়নে পর্বত অপরিহার্য
পরিযায়ী পাখির সুরক্ষা দেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব
মানবকল্যাণে মৃত্তিকার গুরুত্ব
প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজের বোঝা নয় 