শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ন ১৪৩২

SW News24
মঙ্গলবার ● ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » মিডিয়া » কপিলমুনি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপের ঘটনায় আদালতে মামলা
প্রথম পাতা » মিডিয়া » কপিলমুনি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপের ঘটনায় আদালতে মামলা
৩৯ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৮ নভেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কপিলমুনি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপের ঘটনায় আদালতে মামলা

---শেখ সেকেন্দার আলী, পাইকগাছা ঃ খুলনার ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি প্রেসক্লাবে গুটি কয়েক সদস্যের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপের সাথে সাথে মূলধারারার সিনিয়র সদস্যদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ, প্রেসক্লাবের অস্তিত্ব ও সুনাম রক্ষায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কপিলমুনি প্রেসক্লাব খুলনা জেলার পাইকগাছার কপিলমুনিতে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্লাবটি সুষ্ঠু ও নীতিগতভাবে পরিচালনার জন্য ১৯৯৫ সালের ২৮ এপ্রিল গঠনতন্ত্র প্রনীত হয়। আর সেই থেকে গঠনতন্ত্র মেনে প্রেসক্লাব পরিচালিত হয়ে আসছিল। ২০২৪-২০২৫ সালে কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয়। উক্ত তালিকায় ২৩ জন সদস্যের মধ্য থেকে ৯ জন ডোনার সদস্য ছাড়া ১৪ জন সদস্য প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে সংবাদ কর্মী হিসেবে ক্লাবের সদস্য আছেন। সম্প্রতি, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের ২০২৬-২০২৭ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনের জন্য গঠন করা হয় ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন। ওই নির্বাচন কমিশন ১০ নভেম্বর ২০২৫ নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা ও ১১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। উক্ত ভোটার তালিকায় বাদ পড়া সদস্যসহ এলাকাবাসী হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন।

প্রেসক্লাবের ১৮ সদস্যকে বাদ দিয়ে ৫ জন সদস্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতার প্রভাব খাটিয়ে নিজেরাই প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও বিতর্কিত, তঞ্চকী ভোটার তালিকা গত ১১ নভেম্বর চূড়ান্ত বলে প্রকাশ করে। যা সম্পূর্ণ বে-আইনী ও স্বেচ্ছাচারিতা। প্রেসক্লাবের ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জনকে বাদ দিয়ে ৫ জন সদস্য ইচ্ছামত, বহিরাগত ১৫ ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত করে নির্বাচন কমিশনারের নিকট ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। তারা নিজেদেরকে আহবায়ক কমিটি কর্তা দাবী করেন। অথচ গত নির্বাচিত কমিটিকে কোন কারণ ছাড়াই তারা বিলুপ্তি ঘোষনা করে তাদের ইচ্ছামত কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।

এদিকে এসব ঘটনায় সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। অবশেষে কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ শামসুল আলম পিন্টু বাদী হয়ে পাইকগাছা বিজ্ঞ সিনিয়র সিভিল জাজ আদালতে দেওয়ানী ৩৬৮/২০২৫ নং মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নির্বাচন কেন বন্ধ হবে না মর্মে ৩ জন নির্বাচন কমিশনারকে শোকজ করেছেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, আমারা আদালতের নোটিশ পেয়েছি। আদালতের আদেশ মেনে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)