শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ৯ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » ৭১ টিভি’র আলোচনায় উপ-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন জনসচেনতার মাধ্যমে শিশু-নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্ভব
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » ৭১ টিভি’র আলোচনায় উপ-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন জনসচেনতার মাধ্যমে শিশু-নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্ভব
৫২৯ বার পঠিত
শুক্রবার ● ৯ ডিসেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

৭১ টিভি’র আলোচনায় উপ-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন জনসচেনতার মাধ্যমে শিশু-নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্ভব

---

এস ডব্লিউ নিউজ ॥

সরকারি গৃহিত বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও জনসচেতনতার মাধ্যমে শিশু ও নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কে গর্ভধারণ রোধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জন প্রশাসন মন্ত্রাণালয়ের উপ-সচিব ও খুলনা পাইকগাছার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কন্যা সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি শুক্রবার দুপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবসে বাল্য বিবাহ এবং নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ৭১ টিভি’র বাংলাদেশ সংযোগ অনুষ্ঠানের এক আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন। সংবাদ উপস্থাপিকা নাজনিন মুন্নীর এক প্রশ্নের জবাবে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, যশোরে অপরাজিতা যশোর নামে, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে একটি প্রকল্প শুরু করা হয়। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর এ্যাসেসমেন্ট ইনফরমেশনের একটি প্রকল্প। প্রকল্পের সহযোগিতা নিতে আসা ভিকটিমদের বর্তমান বয়স ২০/৩০ হলেও কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি ভিকটিমের বিয়ে হয়েছে ১৪/১৫ বছরে। অর্থাৎ এদের প্রত্যেকের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছরের নিচে। আর্থিক অস্বচ্ছল ও শিক্ষার অভাবে একেক জায়গায় একেক কারণে বাল্যবিবাহ ঘটে থাকে। এদের মধ্যে অনেকেই তালাক প্রাপ্ত, আবার অনেককেই তালাক না দিয়েই বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অপ্রাপ্ত বয়স্কে বিয়ে এর অন্যতম কারণ। আর এজন্য বহুবিবাহের প্রবণতা বাড়ে। উপ-সচিব সাবিনা বলেন, একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে যখন তার শারীরিক গঠন সম্পন্ন হয়নি, গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত হয়নি তখন যদি সে গর্ভধারণ করে তাহলে তার নিজের স্বাস্থ্যের হানি ঘটে। শিশু মৃত্যুর হার বেড়ে যায়, অপুষ্টি বাচ্চা প্রসাব করে, অনেক সময় মায়েরও মৃত্যু ঘটে। পরিপূর্ণ বিকাশের আগেই যখন বিদ্রোপ ঘটে সেখানে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকেনা। স্ত্রীর উপর অত্যাচার ও নির্যাতন বেড়ে যায়, স্বামী অন্য মেয়ের দিকে ঝুকে পড়ে, এক পর্যায়ে গিয়ে দেখা যায় মায়ের সাথে যে শিশুটি থাকে তাকেও ঠেলে দেয়া হয় অন্ধ্যকারের দিকে। তখন শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই নারী নিরুপায় হয়ে আশ্রয় নেয় মা-বাবার  বাড়ীতে। সেখানে তাকে স্বাভাবিক ভাবে দেখা হয়না, হয়ে যায় বাবা-মা কিংবা ভাইদের বোঝা। বাচ্চাটি দিতে পারেনা বাবার পরিচয়, যেতে পারেনা স্কুলে। বাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় শিশু সন্তান। আমরা এ ধরণের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে প্রতিষেধকের কথা বলি। কিন্তু সবাইকে প্রতিরোধের জায়গায় আসা উচিৎ। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের নারী ও শিশু নির্যাতনরোধে অনেক প্রকল্প রয়েছে। উদাহারণ সরূপ তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জেআই ইউনিট আছে যেখানে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে মাঠ পর্যায় থেকে সুপারিশ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে যারা জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান/মেম্বর) কাজ করছেন তারা যদি সরকারি প্রকল্পের কার্যক্রম গুলো মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয় তাহলে নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সহজ হবে। নিজ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা গেছে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর ৬ মাসে অর্ধেক মামলা কমে গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একই চিত্র দেখা গেছে। সংবাদ উপস্থাপিকার বিয়ের আগেই সামাজিক ভাবে গর্ভধারণ রোধ করা সম্ভব কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মহিলা দপ্তর, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বিচার বিভাগ সহ সকলেই সম্বনিত ভাবে কাজ করে  জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। আর তা হলেই অপ্রাপ্ত বয়স্কে গর্ভধারণ রোধ করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)