

সোমবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » কুমড়ো ফুলে জীবন জীবিকা রাহেলার
কুমড়ো ফুলে জীবন জীবিকা রাহেলার
মাগুরা প্রতিনিধি : কুমড়োর ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অসহায় রাহেলা বেগম । শরতের শুরুতে মাগুরা জেলার বিভিন্ন মাঠে মাঠে কুমড়ো গাছে শোভা পাচ্ছে কুমড়োর হলুদ ফুল। প্রতিদিন প্রত্যহ ভোরে সূর্য উঠার সাথে সাথে সদরের বিভিন্ন মাঠে কুমড়ো ফুল রঙিন হয়ে ওঠে। রোদের আলোয় ঝকমক করে এই কুমড়োর ফুল। ভোর হতেই কৃষাণ কিষানীরা এ কুমড়ো ফুল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেন। এই কুমড়ো ফুল সংগ্রহ করতে বিভিন্ন গ্রামে যান রাহেলা বেগম
তিনি জানান, মাগুরা সদরের নালিয়ারডাঙ্গা, বাগডাঙ্গা, টেংনাখালী গ্রাম থেকে এ কুমড়োর ফুল সংগ্রহ করি। কুমড়ো ফুল খুব নরম। তাই খুব সাবধানে সংগ্রহ করে ঝুড়িতে করে নিয়ে আসি বাড়িতে। তারপর দশটি করে ফুল আটিবাধা হয়। প্রতিটি আটি আমি বাজারে বিক্রি করি ২০ টাকা করে। খুব সকালেই আমি মাগুরা নতুন বাজার ও শহরের কলেজের সামনে বিক্রি করি। মাসের মধ্যে ১০ থেকে ১২ দিন আমি কুমড়ো ফুল বিক্রি করি। চালের গুড়ার সাথে মিশিয়ে এই ফুল তেলে ভাজা হয়। খেতে খুব সুস্বাদু লাগে।
এই উপার্জনের টাকা দিয়ে আমি আমার সংসার চালায় । আমার স্বামী নেই,ছোট ছোট দুই মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ তোরা ফুল বিক্রি করি। এ ফুল বিক্রি করে আমার প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা উপার্জন হয়। এই টাকা দিয়ে আমি কোন রকম সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। এভাবেই চলে আমার জীবন জীবিকা।
ফুল কিনতে আসা ক্রেতা শিউলি বেগম জানান, আমি মাঝে মাঝে এই কুমড়োর ফুল কিনি। এটি চাউলের গুড়ার সাথে মিশিয়ে ভাজতে হয়। এক একটি ফুলে তিনটি পাপড়ি দিয়ে ভাজা যায়। আমার ছেলে মেয়ে এটি খুব পছন্দ করে।
ক্রেতা শাহ আলম জানান, কুমড়োর ফুল দেখলেই আমি এটা সংগ্রহ করি। এটি ভেজে খেতে খুব ভালো লাগে। আমিও আমার পরিবার এটি খেতে অভ্যস্ত।