মঙ্গলবার ● ২৮ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » অবশেষে ডুমুরিয়ার আটলিয়ায় বয়ারশিং বিলের নারিকেল তলা সহ ৪টি খাস খাল দখল মুক্তর সিদ্ধান্ত
অবশেষে ডুমুরিয়ার আটলিয়ায় বয়ারশিং বিলের নারিকেল তলা সহ ৪টি খাস খাল দখল মুক্তর সিদ্ধান্ত
শেখ আব্দুস সালাম, চুকনগর॥ অবশেষে ডুমুরিয়ার আটলিয়ায় বয়ারশিং বিলের নারিকেল তলা সহ ৪টি খাস খাল দখল মুক্ত করে পানি নিঃষ্কাশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত রবিবার সকাল ১০টায় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এড. প্রতাপ রায় ঘটনা স্থল পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসীর সর্ব সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলা আটলিয়া ইউনিয়নের বয়ারসিং মৌজাধীন শোভনা, মাগুরখালী ও আটলিয়ার সীমান্ত হতে বয়ারসিং বিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নারিকেল তলা, পিঁপড়ামারি, টিটামারি ও ধাড়িয়ার নামক ৪টি খাস খাল রয়েছে। যাহা বয়ারসিং বিল সহ ৩টি বিলের প্রায় ১২শ একর জমির পানি নিঃষ্কাশন হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার কিছু স¦ার্থন্বেষী মহল ওই খাস খাল বন্দোবস্ত নিয়ে নেটপাটা দিয়ে পানির গতি পথ বন্ধ করে মাছ চাষ করে আসছে। ফলে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ওই বিলের আবাদী জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগন সরকারী খাস খাল জনস্বার্থে উন্মুক্ত রাখতে দখলদারদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত সমগ্র এলাকার পানি নিঃষ্কাশন ও নৌ চলাচলের জন্য উক্ত খাল ৪টি উন্মুুক্ত রাখতে আদেশ দেন। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি সরেজমিন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। এ উপলক্ষে বিকাল ৫টায় বয়ারসিং বাজার স্বামী বিবেক আনন্দ স্মৃতিসংঘ চত্বরে আওয়ামীলীগ নেতা অজিত কুমার সরদারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান এড. প্রতাপ কুমার রায়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজন কুমার মন্ডল, দীপক মন্ডল, জগদীশ চন্দ্র সরকার, ইউপি সদস্য অসীম বিশ্বাস, বিষ্ণুপদ মন্ডল, অনিমেষ মন্ডল, ধীরাজ সরকার, সুধান্য কুমার মন্ডল, সারদা প্রসাদ মন্ডল, বিপীন বিহারী মন্ডল, মনোরঞ্জন মন্ডল, হরি মন্ডল, শ্যামল মন্ডল, কার্তিক মন্ডল, প্রফুল্ল্য মন্ডল, রণজিৎ মন্ডল, বিধান সরকার, নিমাই মন্ডল, গুরুপদ মন্ডল, পরেশ মন্ডল, মনো মন্ডল, সমীর তরফদার, তাপস বৈরাগী, মেঘনথ মন্ডল প্রমূখ। শেষে আগামী ৩০ শে ফাল্গুনের মধ্যে খাস খাল দখলকারীদের মাছ সহ যাবতীয় সরমঞ্জম সরিয়ে নিয়ে খাস খাল গুলি উনমুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।