শনিবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » গৌরিঘোনায় যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যাচার ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর শেষ আশ্রয় স্থল পিত্রালয়ে
গৌরিঘোনায় যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যাচার ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর শেষ আশ্রয় স্থল পিত্রালয়ে
শেখ আব্দুল মজিদ চুকনগর খুলনা ॥
গৌরিঘোনায় যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যাচার ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ তমা রানী দের এখন শেষ আশ্রয় স্থল হয়েছে তার পিত্রালয়ে। চুকনগর সীমান্ত গৌরিঘোনার দক্ষিণ পাড়ার এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাগেছে, প্রায় দেড় বছর আগে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সরুলিয়া গ্রামের সুভাষ দের কন্যা তমা দের সাথে কেশবপুর উপজেলার গৌরিঘোনা দঃ পাড়া গ্রামের প্রশান্ত সরকারের পুত্র পার্থ সরকারের সাথে সামাজিক ও ধর্মীয় মতে বিয়ে হয়। মেয়ের পিতা জামাই-মেয়ের সুখ-শান্তির কথা ভেবে ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা, আসবাবপত্র এবং সাংসারিক সরঞ্জামাদি দেয় । কিন্তু বিয়ের ৮ মাস পর স্বামী পার্থ ও তার পরিবার যৌতুক হিসাবে একটি মটরসাইকেলের দাবি করেন। স্ত্রী বিষয়টি তার পিতাকে জানালে, মটরসাইকেল দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন পিতা। সে থেকে স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে মারপিট সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালত স্বামী পার্থ ও তার পরিবার। একইভাবে গত শুক্রবার বিকালে স্ত্রী তমাকে আতর্কিতভাবে বেদম মারপিট করেছেন। এতে নির্যাতিতা ওই গৃহবধু শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তিনি জানান, সম্প্রতি তার স্বামী প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য নেশা করে গভীর রাতে বাড়িতে এসে অশোভনীয় আচরণ করতে থাকে। কিছু বলা মাত্রই মারপিটের শিকার হতে হয়। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে স্বামী পার্থ ঘটনা অস্বীকার করেছেন। শেষমেষ স্বামী ও তার পরিবারের নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধু তমার শেষ আশ্রয় স্থল হয়েছে তার নিজ পিত্রালয় তালা উপজেলা সরুলিয়া গ্রামে। ওই মহল্লার তাপস মল্লিক, বিদেশ মল্লিক, গৌতম মল্লিক, পলাশ মল্লিক, গোবিন্দ মল্লিক সহ এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান, পার্থ একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। সে যৌতুকের দাবিকে স্ত্রীকে প্রায় মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করত। গত শুক্রবারের ঘটনাটি খুব ন্যাক্কার জনক আমরা এ ঘটনার তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। এর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী গৃহবধু তমার পিতা সুভাষ দেব।