শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » নড়াইলে বাঁশবাগানে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি, টনক নড়েছে প্রশাসনের
প্রথম পাতা » অপরাধ » নড়াইলে বাঁশবাগানে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি, টনক নড়েছে প্রশাসনের
৩৯৮ বার পঠিত
শনিবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নড়াইলে বাঁশবাগানে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি, টনক নড়েছে প্রশাসনের

---
নড়াইল প্রতিনিধি ।
নড়াইলের লোহাগড়ায় বাঁশবাগানে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ৮৬ বছরের বৃদ্ধা হুজলাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী  ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বৃদ্ধাকে হাসপাতালে দেখতে যান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তিসহ তার দেখভালের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে বৃদ্ধা হুজলাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর বিকেলে তাকে হাসপাতালে দেখতে যান তিনি। এর আগে দুপুরে (শনিবার) জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী বৃদ্ধা হুজলাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা যায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুচিয়াবাড়ি গ্রামে চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধা মাকে গত ২৬  সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাত ৮টার দিকে বাঁশবাগানে ফেলে যায় তার ছেলে ও পূত্রবধূ ! এ ঘটনায় জড়িত ছেলে ও পূত্রবধূর যথাযথ শাস্তি দাবি করেছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মায়ের ভরণ-পোষণ দিতে পারবেন না, এমন অজুহাতে অসহায় মাকে রাস্তার পাশে বাঁশবাগানে ফেলে যান তার মেঝো ছেলে বাবু শেখ ও পূত্রবধূ। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুচিয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় গত বুধবার ভোরে হুজলা বেগমের নাতবউ তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। হুজলা বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। প্রায় ৩০ বছর আগে স্বামী সামাদ শেখ মারা যাওয়ার পর ছেলে-মেয়েরা আলাদা সংসার শুরু করেন। আর হুজলা বেগম বিভিন্ন সময়ে ছেলে ও মেয়েদের সংসারে জীবনযাপন করে আসছিলেন। কিন্তু, হঠাৎ করে মায়ের ভরণ-পোষণ কে নেবেন, এ বিষয়ে সন্তানদের মধ্যে মত-বিরোধের সৃষ্টি হয়। শেষপর্যন্ত কোনো সন্তানই তার মাকে তাদের সংসারে ঠাঁই দিতে চায়নি। এরপর বাবু ও তার স্ত্রী বৃদ্ধা মাকে (হুজলা) রাস্তা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে বাঁশবাগানে ফেলে রেখে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাঁকা রাস্তা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নেয়ায় হুজলার শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলে গেছে। খোলা আকাশের নিচে অসহায় বৃদ্ধাকে রাতভর ফেলে রাখায় পিঁপড়াসহ বিভিন্ন ধরণের পোঁকার কামড়ের শিকার হন। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, বৃদ্ধা মাকে নির্যাতনের ঘটনায় এক ছেলে ও মেয়েকে আটক করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত বাবু ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)