সোমবার ● ৩০ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » সারাদেশ » স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে বাঁধ রক্ষায় কাজ, ইউএনও’র ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন
স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে বাঁধ রক্ষায় কাজ, ইউএনও’র ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন
আহসান হাবিব, আশাশুনি : আশাশুনির কালা-হিজলিয়া এলাকায় পাউবো’র ভেড়ী বাঁধে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। দু’শতাধিক ফুট বাঁধে ভায়বহ ভাঙ্গন ও ফাঁটল দেখা দিলে এলাকাবাসি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। যে কোন সময় খোলপেটুয়া নদীর পানি ভেতরে প্রবেশ করে প্রতাপসগরের আংশিক ও শ্রীউলা ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে। শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান নিজ উদ্দোগে মাইকিং করে স্বেচ্ছাশ্রমে ও শ্রমিক নিয়ে বস্তায় মাটি ঢুকিয়ে ও বাঁশ পুতে প্রাথমিক ভাবে বাঁধ রক্ষার কাজ করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজ রোববার সকালে ভয়াবহ ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা প্রতাপনগর ইউনিয়নের হিজলিয়া ও কোলা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে, যা শ্রীউলা ইউনিয়নের পারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধের প্রায় দুই শত ফুট এলাকার বাঁধের বড় অংশ শনিবার বিকালে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। সাথে সাথে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবুহেনা সাকিল ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, সাবেক মেম্বার ইদ্রিস আলির নেতৃত্বে সাধারণ মানুসকে সাথে নিয়ে বাঁধ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরের জোয়ারে যাতে বাঁধটির অবশিষ্ট অংশ ভেঙ্গে না যায় সে জন্য মানুষ বাঁশ, গাছের ডাল ও মাটির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ করছে। রোববার সকাল থেকে পুনঃরায় বাঁধে কাজ করান হচ্ছে। এ সময় বাঁধ পরিদর্শন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবতী ও পিআইও সোহাগ খান। কাজ চলাকালিন ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, শেখ জাকির হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য ইদ্রিস গাজী উপস্থিত ছিলেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানাগেছে ভয়াবহ বাঁধের অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নহে। দ্রুত বাঁধটি রক্ষায় সরকারিভাবে বড় ধরনের কাজ না করা হলে বর্ষা মৌসুমে শেষ রক্ষা সম্ভব না বলে আশঙ্কা করছে সচেতন এলাকাবাসী। বিগত দিনের ন্যয় প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা, হিজলিয়া গ্রাম ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, কলিমাখালীসহ বহু গ্রাম ও মৎস্য ঘেরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মীর আলিফ রেজা বলেন, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষায় কাজ চলছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বাঁধ রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। এলাকার মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করার আহবান জানান। শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বলেন, যাতে নদী পানি ভেতরে না ঢোকে সে জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম করা হচ্ছে। আজ সোমবার এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে বাঁধের সংস্কারে কাজ শেষ করা হবে বলে জানান।