মঙ্গলবার ● ৩১ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » সারাদেশ » দাকোপে করেনা মোকাবেলায় খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যহত আছে সর্ব শেষ কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৩১ জন
দাকোপে করেনা মোকাবেলায় খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যহত আছে সর্ব শেষ কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৩১ জন
আজগর হোসেন ছাব্বির :
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দেশব্যাপী সরকারের দরিদ্র পরিবারে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দাকোপে পেশাজীবি সেলুন সমিতির সদস্যদের মাঝে খাদ্য দ্রব্য বিতরন করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের তৎপরতার মাঝে মানুষের ঘর ছাড়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উপজেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৩১ জন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে দাকোপ উপজেলা সদরে পেশাজীবি সেলুন সমিতির সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু ও ১ পিচ সাবান বিতরন করা হয়। উপজেলা সদরে বসবাসকারী ৪২ টি পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য দ্রব্য বিতরন করা হয়। এ সময় স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, নির্বাহী অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, চালনা পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার ভূমি তারিফ উল হাসান, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আকতার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের, পৌর প্যানেল মেয়র আব্দুল গফুর সানাসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রধান ও সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় সোমবার হতদরিদ্র দিন মজুর শ্রমজীবি পরিবারের মাঝে ১২ টন চাল বিতরন করা হয়েছে। কিন্তু অপেক্ষাকৃত দরিদ্র ও শ্রমজীবি মানুষের বসবাস এ উপজেলায় সরকারের এ পর্যন্ত দেওয়া খাদ্য সহায়তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। যে কারনে সরকারের নির্দেশনা এবং প্রশাসনিক তৎপরতার মাঝে ও অনেকে জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে শুরু করেছেন। বিষয়টি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যান্ত ঝুকিপূর্ন। আবার এক শ্রেনীর মানুষ প্রশাসন সরে গেলেই রাস্তায় বের হওয়ার চেষ্টা করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হক নিজামীর সাথে কথা বলে জানা যায় এ পর্যন্ত দাকোপে বিদেশ ফেরত কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ১০৭ জন। যার মধ্যে মেয়াদ পূর্ন হয়েছে ৫৭ জনের। এখন কোয়ারেন্টাইনে আছে ৫০ জন। এ ছাড়া দেশের অভ্যান্তরীন হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা আছে ৮১ জন। সব মিলিয়ে দাকোপে মঙ্গলবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৩১ জন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কশিনার ভূমির নেতৃত্বে সেনা ও পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন ইউনিয়নে হাট বাজার মনিটরিং ও টহলে ছিল।