সোমবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » সুন্দরবনের মৎস্য প্রজনন খালে কীটনাশক বিষ দিয়ে মাছ শিকারী দূর্বৃত্ত চক্রের ৩ সদস্য আটকঃকীটনাশক, মাছ ও ধারালো অস্ত্র সহ নৌকা জব্দ
সুন্দরবনের মৎস্য প্রজনন খালে কীটনাশক বিষ দিয়ে মাছ শিকারী দূর্বৃত্ত চক্রের ৩ সদস্য আটকঃকীটনাশক, মাছ ও ধারালো অস্ত্র সহ নৌকা জব্দ
মোংলা প্রতিনিধি
সুন্দরবনের মৎস্য প্রজনন মৌশুমে নিষিদ্ধ খালে (কীটনাশক) বিষ দিয়ে মাছ শিকারী দূর্বৃত্ত চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে পুর্ব বন বিভাগের বনরক্ষীরা। সোমবার সকালে করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র সংলগ্ন চারাখালী খাল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বিষ দিয়ে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ , কীটনাশকের বোতল সহ দূর্বৃত্ত চক্রের ব্যবহৃত একটি নৌকা জব্দ করা হয়।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের চারাখালী খাল মৎস্য প্রজনন খালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় করমজনের ফাঁিড় অফিসের বনরক্ষীরা। এ সময় বনরক্ষীদের দেখে পালানোর চেষ্টা করলে নৌকা সহ বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারী দূবর্ৃত্ত চক্রের সদস্য নুর মোহাম্মাদ ঢালীর ছেলে বিল্লাল ঢালি (৪০), বাবর ঢালীর ছেলে মাসুম ঢালী (৪২) ও তার সহধর মনিরুল ঢালী (৩৬) নামের এ তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে-নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে মাছ ধরা কাজে ব্যবহৃত বিষের বোতল, ১২ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, হাত করাত, হাতুড়ি ও ২টি দাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদী জব্দ করা হয়। আটককৃতরা খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার উত্তর কালাবগি গ্রামের বাসিন্দ। তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের শেষে খুলনা আদালতে সোপর্দ এবং জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
গত বুধবার মোংলা উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় সুন্দরবনে হরিণ শিকার ও বিষ প্রয়োগকারী দূবর্ৃত্ত চক্রের অপতৎপরতা নিয়ে বন পরিবেশ ও জলবায়ু বিষায়ক উপমন্ত্রীর বেগম হাবিবুন নাহারের ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে। এসময় বনরক্ষীদের কঠোর হয়ে বনের বন্য প্রানী সংরক্ষন এবং বনজ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় দায়ীত্বশীল হয়ে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্ত নির্দেশনা দেয়ার পরেও পর ৪ দিন যেতে না যেতেই আবারও সুন্দরবন থেকে বিষসহ অপরাধী চক্রের এ ৩ সদস্য আটক হলো।
বন বিভাগের করমজল অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির আরো বলেন, সুন্দরবনে দৃর্বৃত্তদের রুখতে বন বিভাগের কমর্ীরা ব্যাপক তৎপর রয়েছে কিন্ত তার পরেও বনরক্ষিদের চোখ ফঁাকি দিয়ে জেলে সেজে বনের গহিনে প্রবেশ করে। এসকল বিষ দস্যূরা বনের খালে বিশ দিয়ে মাছ শিকার সহ মায়াবী হরিনও ফাদঁ পেতে ধরে লোকালয় নিয়ে বেশী দামে মাংস বিক্রি করে আসছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বক্ষনিক তদারকী করা হচ্ছে এবং বনের বিষ প্রয়োগকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় তিনি।