শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ২০ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » কয়রার ভূমিহীন ও গৃহহীনরা পেল ১৩০টি ঘর
প্রথম পাতা » সারাদেশ » কয়রার ভূমিহীন ও গৃহহীনরা পেল ১৩০টি ঘর
৩৪০ বার পঠিত
রবিবার ● ২০ জুন ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কয়রার ভূমিহীন ও গৃহহীনরা পেল ১৩০টি ঘর

  
রামপ্রসাদ সরদার, কয়রা,খুলনাঃ---

ভূমিহীন-গৃহহীনদের একটি সুন্দর ঘরের স্বপ্ন পূরণের দ্বিতীয় ধাপে খুলনার কয়রায় ১৩০ পরিবার পেলো একটি আধাপাকা স্বপ্নের বাড়ি। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব ঘর ও জমিসহ ঘর দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে ঘরে ঘরে আনন্দ সুখের জোয়ার বইছে। ২০জুন রবিবার সকাল ১১ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এক যোগে সারা দেশে দ্বিতীয় ধাপে ৫৩,৩৪০ টি পরিবারের ন্যায় খুলনার কয়রা উপজেলায় ৩০ টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন টানা তিন বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুজিববর্ষ ঘোষণা করে সরকার। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না- এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে চলমান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে কয়রায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ‘ক’ শ্রেণি জমি সহ ঘর ৩০ পরিবার, আম্ফানের ক্ষতিগ্রস্ত জমি আছে ঘর নেই ৭০ পরিবার এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৩০ পরিবার পেলো তাদের স্বপ্নের ঘর। ঘর পাওয়া কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নে ২ নং কয়রা গ্রামের সূর্য সেন বলেন, “কপোতাক্ষের নদী ভাঙ্গনের লোক আমরা। ভাঙ্গনে ভিটা-মাটি সহ আমার সবকিছুই নদীগর্ভে চলে গেছে। আমাদের থাকার ঘরবাড়ি নেই। বর্তমান সরকার আমাদের ঘর দেয়ায় আমরা খুবই খুশি। প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘজীবন কামনা করি।

” মহারাজপুর ইউনিয়নের উপকারভোগী ভিক্ষুক ছকিনা বেগম বলেন, “আমার জায়গা জমি ছিল না। এর বাড়ি ওর চেয়ে চিন্তে, কাজ কর্ম করে ঝুঁপড়িতে কষ্টে থাকতাম। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। এখন আমাদের মা জননী হাসিনা জায়গা দিয়েছে, ঘর দিয়েছে। আমাদের মতো গরীবদের পাশে যেন সে সারা জীবন থাকতে পারে। আমাদের চোখের পানিটা যেন মুছে যায়। দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী সারা পৃথিবীর কাছে সম্মান পায়।

” প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিয়ে একই গ্রামের উপকারভোগী বিধবা খাদিজা খাতুন বলেন, “ঘর পেয়ে খুবই খুশি হলাম। আমার ঘর বাড়ি ছিল না। প্রধানমন্ত্রী দেয়ার কারণে আমার এখন সবকিছুই হল।” তৈয়েবুর রহমান বলেন, “ঘর পেয়ে আমি খুশি। শেখ হাসিনা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। আমরা তার জন্য দোয়া করি।” একই ধরনের মন্তব্য করেন আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া দেলোযার হোসেন, ইয়াছিন ও জোহরা। এরা সকলেই বললেন, এরকম একটি ঘরে জীবনে তাদের কোনোদিন থাকা হবে, এমন বড় স্বপ্ন কখনোই দেখেন নি তারা।

ভিডিও কনফেরেন্স অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের হল রুমে জমির দলিল নেওয়ার সময় সালমা আক্তার নামে এক নারী আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতা কামনা করেন। নিজের স্বামী নিয়মিত কাজ পায় না এবং খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটে জানিয়ে সালমা বলেন, আমার স্বামী কাজ পায় না। মাঝে-মধ্যে না খেয়ে থাকতে হয়। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। কোনদিন ভাবিনি ঘর হবে। শেখ হাসিনা আমাদের ঘর দিয়েছেন, জমি দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুন। কয়েকটি বাক্য বলেই উপকারভোগী নারী কৃতজ্ঞতায় কাঁদতে থাকেন।

এ সময় উপস্থিত কয়রা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে সান্তনা দিয়ে বলেন, আপনি কাঁদবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন পুরণে তাঁর কন্যা হিসেবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন জনগণের কল্যাণে। বাংলাদেশে একটি মানুষও যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে তিনি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন । সেই সঙ্গে আপনারা যেন আপনাদের জীবন-জীবিকার পথ খুঁজে পান সেই ব্যবস্থাও তিনি করছেন । জমির দলিল হস্তান্তর কালে এসময় কয়রা উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার এ্যাড: কেরামত আলী, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাইন বিল্লাহ, উপজেলা প্রকল্পবাস্তয়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত ও উপকাভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, “আশ্রয়ণের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার”এই স্লোগান বাস্তবায়নে কয়রা উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন এবং জমি আছে ঘর নাই মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাস জমিতে গৃহ নির্মাণের কাজ করছে কয়রা উপজেলা প্রশাসন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুবিধাভোগী পরিবারের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে গৃহ নির্মাণের কাজ করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। পিআইসি’র পক্ষ থেকে জানা গেছে, প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত করে ঐ জমির ওপর ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি সেমি পাকা ঘরের নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারী নির্ধারিত নকশায় সবগুলো ঘর তৈরি করা হচ্ছে। রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট ও গোসলখানা সহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে মুজিব শতবর্ষের ঘরগুলোতে। 





সারাদেশ এর আরও খবর

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদে কুমির, জনমনে আতঙ্ক পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদে কুমির, জনমনে আতঙ্ক
কেসিসি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ মানসম্মত নির্মাণ কাজের জন্য নগরবাসীকে একটু অপেক্ষা করতে হবে কেসিসি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ মানসম্মত নির্মাণ কাজের জন্য নগরবাসীকে একটু অপেক্ষা করতে হবে
কয়রায় রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ কয়রায় রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ
সাঈদীর মৃত্যুতে তাণ্ডব : শাহবাগ থানার মামলায় আসামি মাসুদ সাঈদীসহ ৫ হাজার সাঈদীর মৃত্যুতে তাণ্ডব : শাহবাগ থানার মামলায় আসামি মাসুদ সাঈদীসহ ৫ হাজার
পাইকগাছায় প্রধানমন্ত্রীর  উপহারের  ঘর পেলো আরো ৬৮ পরিবার পাইকগাছায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলো আরো ৬৮ পরিবার
খুলনায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত খুলনায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ৯৮৭টি পরিবার খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ৯৮৭টি পরিবার
পিরোজপুরে মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত পিরোজপুরে মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
খুলনায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ খুলনায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ
পাইকগাছায় শীতবস্ত্র বিতারন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ পাইকগাছায় শীতবস্ত্র বিতারন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)