মঙ্গলবার ● ৩০ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনির বুধহাটায় বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে দুর্ধর্ষ ডাকাতী সংঘটিত
আশাশুনির বুধহাটায় বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে দুর্ধর্ষ ডাকাতী সংঘটিত
আশাশুনি : আশাশুনির বেউলা লম্বাডাঙ্গায় বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে দুর্ধর্ষ ডাকাতী সংঘটিত হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা লম্বাডাঙ্গা গ্রামে মৃত অভয় চন্দ্র বসাকের পুত্র প্রভাস বসাকের বাড়িতে ডাকাতীর ঘটনা ঘটে। থানা, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, প্রভাস বসাক দু’জন কর্মচারীকে নিয়ে একা বাড়িতে বসবাস করেন। সোমবার রাতে তারা রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত্র ১টার দিকে ৭/৮ জনের একটি ডাকাত দল ঘরের গ্রীল কেটে ভিতরে ঢুকে সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারীর চাবি দিতে বলে। না দেওয়ায় তাদেরকে মারপিট করা হয়। পরে চাবি দেওয়ার পর সকলকে জোরপূর্বক চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে মূল্যবান মালামাল, নগদ টাকা ও কাপড় চোপড় নিয়ে ডাকাতরা কেটে পড়ে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে ক্ষেতে কাজ করার জন্য লোকজন সেখানে গিয়ে তাদেরকে না পেয়ে পাশের লোকজনকে জানালে অসিত বসাকের পুত্র দেবেন্দ্র ও অধর বিশ্বাসের পুত্র স্বপন ঘরে ঢুকে সকলকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মেম্বার ও পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌছালে কর্মচারী সরজিৎ দাশের পুত্র গোবিন্দ’র ততক্ষণে একটু জ্ঞান ফিরে এলে তার কাছ থেকে ডাকাতীর ঘটনার কিছু তথ্য পাওয়া যায়। পুলিশ দ্রুত বাড়ির মালিক প্রভাস, মহিলা কর্মচারী ও পুরুষ কর্মচারী গোবিন্দকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক মাস আগে স্থানীয় সুকুমার ব্যানার্জি ও গ্রাম ডাক্তার অরুন কুমার মন্ডলের বাড়িতে অনুরুপ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। বারবার এমন ঘটনা ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মু. গোলাম কবির জানান, সংবাদ পেয়েই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া না গেলেও আমাদের তদন্ত অব্যহত রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত মুল হোতাদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশ্বাস ব্যক্ত করেন।