শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ২১ মে ২০২২
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » রাস্তার পাশে শোভা ছড়াচ্ছে আমঝুম ফল
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » রাস্তার পাশে শোভা ছড়াচ্ছে আমঝুম ফল
৫১০ বার পঠিত
শনিবার ● ২১ মে ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাস্তার পাশে শোভা ছড়াচ্ছে আমঝুম ফল

---প্রকাশ ঘোষ বিধান  : রাস্তার পাশে রং ছড়াচ্ছে বাহারি  আমঝুম ফল্। গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে আমঝুম ফল। দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। 

এ ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ বর্ণের। আধাপাকা হলে গোলাপি-লাল এবং পরিপূর্ণ পাকলে লালচে কালো রঙ ধারণ করে। আধাপাকা এ ফল খেতে ভীষণ কষ। আমঝুম ফল পাকলে কষাভাব অনেকটা কমে যায়। স্বাদে কষ হওয়ায় বিরল প্রজাতির এ ফলটিকে কষটি ফলও বলা হয়। ---


কাচা, হলুদ,কমলা কালো রংয়ের বাহারি আমঝুম থোকায় থো্কায়  ঝুলছে। পাইকগাছার মেইন সড়কের গদাইপুর ও নতুন বাজারের পাশের গাছে শোভা ছড়াচ্ছে আমঝুম। এটি অপ্রচলিত একটি গাছ ফল।নানা নামে প্রচলিত। এলাকায় ভিত্তিক নাম ভিন্ন ভিন্ন।খুলনা অঞ্চলে আমঝুম,নিনজিল কাউয়াঠুটি নামে পরিচিত। অঞ্চলভেদে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমঝুম ফল, ছাগলবড়ই, ছেরাবেরা,ছাগলনেদি, টাটই, কাউয়াঠুটি, খেজুরজাম, ভূতিজাম ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ভারতের পূর্ব-মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়ার গ্ৰামাঞ্চলে এটিকে রাখালফলও বলা হয়। ফলটি জিভ ও মুখের ঘা এবং রক্তহীণতা দূর করে। প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ ও ভিটামিনসমৃদ্ধ এই ফলটি দেহের রোগ প্রতিরোধ-ক্ষমতাও বাড়ায় বলে জানা গেছে।---

খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঝোপঝাড়, বসতবাড়ি, বাগান এবং রাস্তার ধারে প্রায়ই দেখা যেত।তবে বর্তমানে এটি বিলুপ্তির পথে। গাছের আকার মধ্যাকৃতির, পাতার গড়ন আম পাতার মতো। তবে পাতা অনেক নরম। এর বৈজ্ঞানিক নাম  লেপিস্যান্থেস রুবিগিনোসা শেপিনডেসি

বুনো গাছ বলে পরিচিত। রাস্তার ধারে, ঝোপঝাড়,বনেবাদাড়ে জন্মায় এই গাছ। অবহেলা অনাদরে বড় হয়। গাছ চির সবুজ।পাতা বড় এবং মসৃণ খসখসে।গাছ প্রায় ত্রিশ ফুট পর্যন্ত বড় হয়।ছোট গাছে ফল ধরে। গাছে মার্চে ফুল ধরে এবং মে মাসে ফল পাকা শুরু হয়।পল্লবের ডোগা থেকে ঝুরি নামে এবং থোবায় থোকায় ফল ধরে।ফল কাচা অবস্থায় সবুজ,আধা পাকা অবস্থায় হলুদ বা কমলা রঙের আর পাকলে কালো রং হয়।স্বাদে কিছুটা বুনো গন্ধযুক্ত মিস্ট,তবে মুখরোচক।ছোট  ছেলে মেয়েদের কাছে খুব প্রিয় ফল।এইগুলো পাখিদের প্রিয় ফল,পাকা ফল পেলে গাছ সাবাড় করে দেয় পাখি।

 বাংলাদেশে পর্যন্ত প্রায় ১৩০ রকম ফলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে প্রায় ৭০টি ফল অপ্রচলিত বা স্বল্প পরিচিত।এর মধ্যে রয়েছে কাউফল,নোয়াল,উড়িআম, লুকলুকি,বৈচি ইত্যাদি।দেশি প্রজাতির অনেক গাছ বিলুপ্ত হচ্ছে সংরক্ষের অভাবে।

 দিন দিন বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাচ্ছে।আর কমে যাচ্ছে পাখির সংখ্যা। প্রাকৃতিকভাবে এ গাছ জন্মাতে পাখি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এই ফলের  ঔষধিগুণও রয়েছে। তাই এই ফলের গাছটি সংরক্ষণ  জরুরি। প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নাম না জানা নানা গাছ।এসব গাছ সংরক্ষন করা প্রযোজন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)