রবিবার ● ২০ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » ষড়যন্ত্র ও হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে কপিলমুনির ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
ষড়যন্ত্র ও হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে কপিলমুনির ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে সৃষ্ট পারিবারিক ষড়যন্ত্র ও হয়রানীর হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কপিলমুনি বাজারের লৌহজাত ব্যবসায়ী পঙ্কজ কর্মকার।
২০ আগষ্ট রবিবার ১২ টায় পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি সম্প্রতিক তার বড়ভাই সুকুমার কর্মকার ও তার ছেলে পলাশ কর্মকার দ্বারা একের পর এক ষড়যন্ত্র ও হয়রানির শিকার হয়ে তাদের থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, তাদের পিতা গোষ্ঠ কর্মকারের মৃত্যুর পর থেকে তার ভাই সুকুমার ও তার ছেলে পলাশ নানা ভাবে ফন্দি-ফিকির করে বাবার রেখে যাওয়া স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে তাকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টা করে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় কপিলমুনি বাজারের স্বর্ণ পট্টিতে পিতার রেখে যাওয়া একটি দোকান (পজিশন) এককভাবে দখলে নিতে তার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া এগ্রিমেন্ট সৃষ্টি করে দখলে নিয়েছে।
আমি উপায়ন্ত না পেয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয় নিয়ে পাইকগাছা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা করি। যার নাম্বার সিআর ১৩২৩/২২। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ পুর্বক তদন্তের জন্য সিআইডি খুলনাকে নির্দেশ দেন। আর এ ঘটনায় তারা বিভিন্ন সময় আমিসহ আমার পরিবারকে হুমকি ও নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হয়রানি করে আসছে।
সম্প্রতি বাজারের লোহাপট্টিতে অবস্থিত আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে পার্শ্ববর্তী দোকানদারদের দিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় আমাকে ও আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য থানায় মিথ্যা অভিযোগে জিডি করিয়েছে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
লিখিত বক্তব্যে পঙ্কজ আরো বলেন, আমি কপিলমুনি বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ কপিলমুনি বাজারের লোহাপট্টিতে অতীব সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।আমার সুনাম নষ্ট করতে সুকুমার কর্মকার ও তার ছেলে পলাশ কর্মকার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হয়রানির উদ্যেশ্যে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য সরবরাহ করেছে। যা নিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ইতোপূর্বে আমার নামে কপিলমুনি বণিক সমিতি বরাবর একটি মিথ্যা অভিযোগ করায়। যা পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে প্রকাশ নামের ঐ ব্যবসায়ী ভুল শিকার করে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন। ভুক্তভোগী পঙ্কজ দাবি করেন, উক্ত পলাশ কর্ম্মকার বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তায় একাধিকবার মোটরসাইকেল চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি কাকা হিসেবে তাকে ক্ষমা করে দিই।
এতোকিছুর পরেও তাদের ষড়যন্ত্রের মিশন বন্ধ হয়নি। দলবদ্ধ হয়ে লোহাপট্টির ব্যবসায়ী গৌরপদ কর্ম্মকার, ষষ্ঠী কর্ম্মকার, গনেশ কর্ম্মকার, শৈলেন কর্ম্মকার মিলে আমি ও আমার পরিবারকে দেখে নেবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই তাদের এমন আচারণে আমি রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত। উল্লেখ্য দোকান ব্যবসায়ীরা সবাই আমার গ্রাম-প্রতিবেশী। যে কোন মুহূর্তে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার ও আমার পরিবারের জান মালের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে আমার আশংকা।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি ভারাক্রান্ত হয়ে বলেন, আমি তো কোন দোষ করিনি! আমার ন্যায়সঙ্গত অধিকার পিতার রেখে যাওয়া স্থাবর ও সম্পত্তি রক্ষায় আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতে একটি মামলা করেছি মাত্র। আর এতেই গাত্রদাহ শুরু করে আমাকে পরিবারসহ হয়রাণি ও হেনস্থায় রীতিমত মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা।
আইনী মোকাবেলার ভয়ে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে লৌহপট্টির ব্যবসায়ী গৌরপদ কর্ম্মকার, ষষ্ঠী কর্ম্মকার, গনেশ কর্ম্মকার ও শৈলেন কর্ম্মকারকে আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে।
এর মধ্যে গৌর কর্ম্মকারকে দিয়ে আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনায়ন করে গত ১১/০৮/২৩ তারিখে একটি জিডি করেছে, যার নং ৫৬৪। যা চরম মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এনিয়ে তিনি প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনার পাশাপাশি মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
সর্বশেষ সুকুমার কর্ম্মকার ও তার ছেলে পলাশ কর্ম্মকারসহ অন্যান্যদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।