

শুক্রবার ● ৫ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিজ্ঞানী পি.সি. রায়ের নামে সেতু নামকরণের দাবী; পাইকগাছায় অ্যাপ্রোচ সড়কে আটকে আছে বোয়ালিয়া সেতু
বিজ্ঞানী পি.সি. রায়ের নামে সেতু নামকরণের দাবী; পাইকগাছায় অ্যাপ্রোচ সড়কে আটকে আছে বোয়ালিয়া সেতু
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার পিসিরায়ের স্মৃতিবিজড়িত কপোতক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়ায় সেতু’র নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে পূর্ব পাশে অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটির কাজ না হওয়ায় সেতুটি চালু হচ্ছে না। অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটির কাজ শুরু না করায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষভের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রমতে, ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর উপজেলার রাড়–লী ও গদাইপুর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া নামক স্থানে নির্মানাধীন ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্ভোধন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা। ২০১৪ সালের দিকে ২১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর দৈর্ঘ্য ৩১৫ মিটার, ৭ মিটার প্রস্থ ও ৯টি ইস্পান সম্বলিত ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০১৬ সালে ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যশোরের এএমবি এন্ড আইটি জয়েন্ট ভেনসার। জানাগেছে, সেতুর পূর্ব পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের জন্য বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ৩৮ শতক জমি রাস্তা তৈরীর জন্য অধিগ্রহণ করা হবে। যা রাস্তার দক্ষিণ পাশ। আর রাস্তার উত্তর পাশের জন সাধারণের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে জমি মালিকরা ক্ষতি পুরণের টাকাও পেয়েছে। অধিক গ্রহণের জমি থেকে সকল স্থাপনাও অপসারণ করা হয়েছে। তবে অধিগ্রহণকৃত রাস্তার মধ্যে প্রায় ৩০টি মাঝারি সাইজের শিরিস ও মেহেগনি গাছ না কাঁটায় রাস্তার মাটির কাজ করা যাচ্ছে না বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানাগেছে। এদিকে রাস্তার দক্ষিণ পাশের বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে অধিগ্রহণকৃত জমির বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত কোন সমাধান হচ্ছে না। কবে নাগাদ আন্তমন্ত্রণালয়ে বৈঠক হবে তা জানা যায়নি।এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের গাছ অপসারণ ও বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের জমি হস্তান্তর জটিলতায় সড়কের পূর্ব পাশের রাস্তার কাজ আটকে আছে বলে স্থানীয় সরকার প্রোকৌশল বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রোকৌশলী মোঃ আবু সাঈদ জানান, ব্রীজের দুপাশে ২০০ মিটার করে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা লাগবে। যার মধ্যে পশ্চিম পাশের অংশের অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি ভরাটের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি জমি হস্তান্তর সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার ও কৃষি আন্তমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আন্তমন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা সহ সেতুটি জন সাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে। একই সাথে বিজ্ঞানী পিসি রায়ের নামে ব্রীজটির নাম করণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
সেতুটি চালু হলে সাতক্ষীরা জেলার সাথে পাইকগাছা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ও এলাকার উন্নয়ন আমুল পরিবর্তন ঘটবে। বিজ্ঞানীর বসতবাড়ীকে ঘিরে গড়ে উঠবে পর্যটন কেন্দ্র। আগমন ঘটবে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের। এতে করে এলাকার উন্নয়ন ও জীবন যাত্রার মান বদলে যাবে।