শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
শনিবার ● ২১ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » শ্রীপুর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বেড়েছে
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » শ্রীপুর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বেড়েছে
৫৪ বার পঠিত
শনিবার ● ২১ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শ্রীপুর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বেড়েছে

---
মাগুরা প্রতিনিধিঃ সরকারি হাসপাতালে গেলে রোগী সেবা পায়না,ডাক্তার থাকেনা। এমন ধারনা পোষণ করেন অনেকেই। আর এটিই যেন জনসাধারণের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার করুন বাস্তবতা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা আবর্জনাময় পরিবেশ, চিকিৎসক নার্সদের অবহেলা,অপ্রতুল চিকিৎসা সরঞ্জাম, ও  প্রয়োজনীয় ঔষধ না থাকার কারণে রোগীরা প্রাইভেটভাবে চিকিৎসাসেবা নিতে বাধ্য হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়েছেন বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফুজ্জান লিটন। উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষের একমাত্র ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য ভরসাস্থল। বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফুজ্জান লিটন ২১/৫/২৫ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছে অনেক পরিবর্তন, বদলে গেছে সেবার মান। সরকারি চিকিৎসা সেবায় আস্থা ফিরেছে মানুষের। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চালু হয়েছে স্বল্প টাকায় ইসিজি, আলট্রাসনো,প্রসাব, পায়খানা, সিবিসি পরীক্ষা। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ,ফলজ, ফুল ও মসলা জাতীয় গাছ। ফলজ প্রজাতির আম,পেয়ারা,লিচু,চেরি,চায়না, কমলা,আঙ্গুর,আমলকি,লটকন , কদবেল,কামরাঙ্গা, জলপাই, আমড়া। মসলা জাতীয় এলাচ,দারুচিনি, তেজপাতা ও ফুল জাতীয় পঞ্চমুখী, জবা,চায়না টগর,এ্যারোমেটিক জুই,বিভিন্ন ধরনের গোলাপ,এ্যালমুন্ডা,গন্ধরাজ,বেলি, রক্ত কবরী পলাশ,কামিনি, কৃষ্ণচুড়া চায়না রঙ্গন,বাগানবিলাশ,সোনালু,জারুল, এরেলিয়া,চেরি,প্রমিলা, কেমিলিয়া ও কাঞ্চন ফুল গাছ বাগানে শোভা পাচ্ছে। চালু হয়েছে প্যাথলজি বিভাগের জন্য আলাদা ক্যাশ কাউন্টার, প্যাথজলি বিভাগের রিপোর্ট প্রিন্ট করে দেওয়া, এএনসি ও পিএনসি বিভাগের জন্য আলাদা টিকিটের ব্যবস্থা,নন কমিউনিকেবল ডিজিজের জন্য আলাদা কক্ষ, ইমারর্জেন্সীর সামনে র্যাম সিঁড়ির ব্যবস্থা, অপারেশন থিয়েটার চালু,ছবিসহ বায়োমেট্রিক হাজিরা আগমন ও প্রস্থান ব্যবস্থা, মসজিদের ল্যাট্রিন ও প্রসাবখানা নির্মাণ।
তিনি অফিসে ঢোকা মাত্রই রোগীদের ভিড় লেগে যায়। প্রতিটি রোগী দেখার পরে রুম থেকে বের হন। রোগী দেখা শেষ হলে  তিনি অপারেশন থিয়েটার রুমে চলে যান। রোগীদের সরাসরি তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন, যাতে করে কোন রোগী দালাল দ্বারা প্রতারিত না হন। রোগীরা সরাসরি কথা বলতে পারায় রোগীরা যেমন খুশি, তেমনি দালালদের দৌরাক্ত মুক্ত।
উপজেলা স্বাস্থ্য সেবার মান সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফুজ্জান লিটন বলেন, আমি এখানে যোগদানের পর অনেক অব্যবস্থপনা আমার নজরে আসে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিতে ছবিসহ বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়। রোগীরা এসব উদ্যোগের সুফল ভোগ করছে। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতি মানুষের যেমন আস্থা বেড়েছে। তেমনি বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসক ৫ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ১জন, সেবিকা ৩৯জন ও ৪৬ জন্য কর্মচারী রয়েছে। এসব ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা নিয়মিতভাবেই রোগীদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুরুরি ও বাহিরর্বিভাগে সেবা দিচ্ছেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)