শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
শনিবার ● ২১ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » বোয়ালিয়া বিএডিসি খামারে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ধৈঞ্চার চাষ
প্রথম পাতা » কৃষি » বোয়ালিয়া বিএডিসি খামারে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ধৈঞ্চার চাষ
১০৩ বার পঠিত
শনিবার ● ২১ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বোয়ালিয়া বিএডিসি খামারে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ধৈঞ্চার চাষ

 --- প্রকাশ ঘোষ বিধান; পাইকগাছা :  মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জৈব সবুজ সার উৎপাদনে পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ধৈঞ্চার আবাদ হয়েছে। মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জৈব সার উৎপাদনে খামারে ধৈঞ্চার আবাদ করা হয়।

মাটির প্রাকৃতিক উর্বারতা বাড়াতে জৈব সারের বিকল্প নেই। সবুজ সার হিসাবে খ্যাত ধৈঞ্চা গাছ মাটির সঙ্গে মিশে উর্বাতরা শক্তি বৃদ্ধি করে। একই মাটিতে বারবার আবাদ করার ফলে মাটির শক্তি হ্রাস পায়। ধৈঞ্চার সবুজ চারা গাছ মাটির সঙ্গে চাষ করে মিশিয়ে দিলে মাটি তার পূর্ণশক্তি ফিরে পায়।
মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ধৈঞ্চা চাষের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি একটি সবুজ সার, যা মাটির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ভিয়েতনাম জাতের এসব ধঞ্চা গাছের শিকড়, কাণ্ড এবং পাতার নিচে ছোট ছোট দানার মতো গঠন তৈরি হয়। এগুলোকে নডিউল বলা হয়। ধঞ্চা গাছ বাতাসের নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে এসব নডিউলে জমা রাখে। এ জন্য ধইঞ্চা গাছ মাটিতে মিশিয়ে দিলে সেই জমিতে ইউরিয়া সারের অভাব দূর হয়। এ ছাড়া ধইঞ্চা গাছের সবুজ পাতা ও কান্ড মাটিতে পচে জৈব সারের ঘাটতি পূরণ করে। এ জন্য এটাকে সবুজ সার হিসেবে গণ্য করা হয়। ধৈঞ্চা গাছ মাটিতে মেশানোর ফলে মাটির ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈবিক গুণাগুণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, ধৈঞ্চা বায়ু থেকে নাইট্রোজেন শোষণ করে মাটিতে যুক্ত করে, যা উদ্ভিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান।

খামার সূত্রে জানা গেছে, মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জৈব সার প্রয়োগ করতে খামারের চাষের জমিতে ধৈঞ্চার আবাদ করা হয়। প্রতি বছরের মত এ বছর পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ৬০ একর জমিতে ধৈঞ্চার আবাদ হয়েছে। ধৈঞ্চা সবুজ সার হিসাবে খ্যাত। বৃষ্টি শুরু হলে জমিতে প্রাকৃতিক সবুজ বাড়াতে খামারে ধৈঞ্চার বীজ বপন করা হয়। দেড় থেকে পৌনে ২ মাস পর ধৈঞ্চার সবুজ গাছ ৩ থেকে ৪ ফুট উচু হলে চাষ করে ধৈঞ্চা গাছ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়।

বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম জানান, ধৈঞ্চার গাছ সবুজ সার হিসাবে খ্যাত। মাটিতে জৈব সার বৃদ্ধিতে ধৈঞ্চা গাছের বিকল্প নেই। ধৈঞ্চা গাছ মাটিতে মিশে উর্বারতা বৃদ্ধি করে। জমিতে সার, কিটনাশক কম লাগে এবং রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণও কম থাকে। এতে করে ফসল উৎপাদনে খরচ কম হয়।

বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ধৈঞ্চা চাষ করা হয়। মূলত, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও জৈব সার উৎপাদনের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৬০ একর জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করা হচ্ছে, যা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এটা একটা উত্তম পদ্ধতি। মাটির গুণগত মান বজায় রাখার জন্য জৈব সারের বিকল্প নেই।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)