শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

SW News24
রবিবার ● ২২ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » হারিয়ে যাচ্ছে জমির সবুজ সার ধৈঞ্চার চাষ
প্রথম পাতা » কৃষি » হারিয়ে যাচ্ছে জমির সবুজ সার ধৈঞ্চার চাষ
১৫১ বার পঠিত
রবিবার ● ২২ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হারিয়ে যাচ্ছে জমির সবুজ সার ধৈঞ্চার চাষ

উপকূলের পাইকগাছায় এক সময় জমিতে ধৈঞ্চার চাষ জনপ্রিয় ছিলো। জমির প্রাণ ফেরাতে কৃষকরা নিয়মিত সবুজ সার হিসাবে ব্যবহার করতেন ধৈঞ্চা। কিন্তু কালের বিবর্তনে জমিতে হাইব্রিড ফসল আর রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ধৈঞ্চার চাষ উঠেই যাচ্ছে। এর ফলে ক্রমশ মাটি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক প্রাণশক্তি। এভাবে চলতে থাকলে মাটি হারিয়ে ফেলবে তার স্বাভাবিক উর্বরা শক্তি। বাড়বে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার। সে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষাবাদের খরচ।

মাটির প্রাকৃতিক উর্বারতা বাড়াতে জৈব সারের বিকল্প নেই। সবুজ সার হিসাবে খ্যাত ধৈঞ্চা গাছ মাটির সঙ্গে মিশে উর্বাতরা শক্তি বৃদ্ধি করে। একই মাটিতে বারবার আবাদ করার ফলে মাটির শক্তি হ্রাস পায়। ধৈঞ্চার সবুজ চারা গাছ মাটির সঙ্গে চাষ করে মিশিয়ে দিলে মাটি তার পূর্ণশক্তি ফিরে পায়। মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ধৈঞ্চা চাষের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি একটি সবুজ সার, যা মাটির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে।

তবে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার পাশে বা ক্ষেতের আইলে জ্বালানিকাঠ এবং পশুখাদ্য হিসেবে ধৈঞ্চার চাষ প্রচলন রয়েছে। ধৈঞ্চার হলুদ ফুল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।

উপজেলার হিতামপুর ব্লকের কৃষক সামাদ সরদার বলেন, আগে বাপ-দাদারা প্রতি বছর একবার ধৈঞ্চার চাষ করতেন। মোটামোটি একমাসের মধ্যেই সবুজ চারায় ছেয়ে যেত ফসলের মাঠ। নরম ও সবুজ ধৈঞ্চার ক্ষেতে লাঙল দিয়ে চাষ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হতো। সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ধৈঞ্চা পচে মাটির সাথে মিশে যেত। জৈব সারের চাহিদা মিটে যেত। সে সময় জমিতে প্রচুর ফসল ফলতো। কিন্তু এখন জমিতে সবুজ সার ও গোবর সার ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ একরামুল হোসেন বলেন, ধৈঞ্চার ব্যবহার এখন কমে গেলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রান্তিক এ অঞ্চলের কৃষকেরা বিনা পরিশ্রমে বাজারে সার পায় এজন্য ধৈঞ্চা চাষে অনিহা। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ধৈঞ্চারমতো প্রাকৃতিক সবুজ সারের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের নিয়মিত রাসায়নিক সার, বীজ ও কীটনাশকের ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে বুঝানো হচ্ছে।
---কৃষক পর্যায়ে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো গেলে মাটিতে ফসলের জন্য উপকারী পোকা মাকড়, কেঁচো প্রভৃতির বংশ বিস্তার হবে। এর ফলে জমিতে উৎপন্ন বিভিন্ন ফল ও ফসলের উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে ও কৃষকরা উপকৃত হবেন।





কৃষি এর আরও খবর

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের হিতামপুর এলাকার বেড়িবাধ খুবই ঝুঁকিপুর্ণ পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের হিতামপুর এলাকার বেড়িবাধ খুবই ঝুঁকিপুর্ণ
প্রবল বর্ষণে  মাগুরার শালিখায় ৮৫৫ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে,বিপাকে কৃষক প্রবল বর্ষণে মাগুরার শালিখায় ৮৫৫ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে,বিপাকে কৃষক
মাগুরায় সরকারি খাসজমিতে লিচু বাগান স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন মাগুরায় সরকারি খাসজমিতে লিচু বাগান স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন
পাইকগাছায় জলাবদ্ধতায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ অনিশ্চিত; কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ পাইকগাছায় জলাবদ্ধতায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ অনিশ্চিত; কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ
পাইকগাছায় পাট চাষীর সোনালী স্বপ্ন অতিবৃস্টিতে ভেসে গেছে পাইকগাছায় পাট চাষীর সোনালী স্বপ্ন অতিবৃস্টিতে ভেসে গেছে
পাট চাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন মাগুরার কৃষকরা পাট চাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন মাগুরার কৃষকরা
পাইকগাছায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, চারা ও সার বিতরণ পাইকগাছায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, চারা ও সার বিতরণ
নড়াইলের নবগঙ্গা কলেজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠিত নড়াইলের নবগঙ্গা কলেজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠিত
পাইকগাছায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস পাইকগাছায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস
কেশবপুরে আষাড়ের টানা বৃষ্টিতে আমনের  বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ, চাষীরা বিপাকে কেশবপুরে আষাড়ের টানা বৃষ্টিতে আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ, চাষীরা বিপাকে

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)