শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » আশাশুনির বাইপাস সড়ক এলাকাবাসীর আশীর্বাদ হলেও সামান্যের জন্য শংকামুক্ত নয়
প্রথম পাতা » বিবিধ » আশাশুনির বাইপাস সড়ক এলাকাবাসীর আশীর্বাদ হলেও সামান্যের জন্য শংকামুক্ত নয়
৫১৫ বার পঠিত
রবিবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আশাশুনির বাইপাস সড়ক এলাকাবাসীর আশীর্বাদ হলেও সামান্যের জন্য শংকামুক্ত নয়

 ---

মোঃ নুর আলম,আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনিবাসীর আশীর্বাদ হিসাবে নির্মনাধীন আশাশুনি বাইপাস সড়ক ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ করা হলেও সামান্যের জন্য শংকামুক্ত না হওয়ায় চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের দ্রুত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী বলে অভিজ্ঞজনরা মনে করছেন। ১৯ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে ৪.৪ কিঃ মিঃ বাইপাচ সড়কের নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সড়কটি নির্মীত হলে আশাশুনি উপজেলা সদর জলোচ্ছ্বাস, বলাবাড়িয়া ভাঙ্গন ঝুঁকি থেকে মুক্ত হবে এবং আশাশুনি সদরের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একধাপ অগ্রগতি ঘটবে। জমি অধিগ্রহন শেষে বাইপাস সড়কের কাজ শুরু হয় @)১৫ সালের প্রথম দিকে। সড়কটিতে পিচ ঢালাই হবে ১২ ফুট। উভয় পার্শে ৬ ফুট করে ১২ ফুট সাইড সোল্ডার হবে। স্লোব ১:২। সড়কের উচ্চতা ১০-১২ ফুট। দীর্ঘ সড়কটি নির্মানের জন্য ৯০ ফুট থেকে ১০০ ফুট চওড়া করে জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। ফলে উভয় পাশে প্রায় ১৫ পুট করে জমি অতিরিক্ত রয়ে যাচ্ছে। সড়কটি দু’পাশে মাটির বাধ দিয়ে ভিতরে বালিদ্বারা ভরাট করে নির্মান করা হয়েছে। এই সড়কের দু’পাশে রয়েছে লবণ পানির মৎস্য ঘেরের মাছ চাষের বিশাল এলাকা। বর্তমানে এসব মৎস্য ঘেরে পানি শুকিয়ে রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই মৎস্য ঘেরে পানি ভরে দিয়ে মাছের রেণু ছাড়া হবে। তখন লবন পানি অনায়াশে সঢ়কের তলদেশে ঢুকবে। বর্ষা মৌসুমসঞ সারা বছরই ঘেরের পানির ঢেউ এই সড়কে আছড়ে পড়লে রাস্তার মাটিতে ধস নামবে। তখন মহামূল্যবান সড়কটি ভাঙ্গতে শুরু করবে। তখন কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীত সড়কটিল সমুহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা আইন শৃংখলা ও সমন্বয় কমিটির সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম সড়ক রক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ প্রদান করলে, তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে উপজেলার সকল ঘের মালিককে তাদের ঘেরে সরকারি রাস্তার পাশে পৃথক বাঁধ দিয়ে আ্উট ড্রেন করার জন্য মাইকিং করেছেন। যাতে ঐ সড়কগুলো পানি ও ঢেউ এর ক্ষতি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরুল করিম বলেন, ৪.৪ কিঃমিঃ সড়কের মধ্যে ১কিঃমিঃ এর জন্য প্যালাসাইটিং কাজ করা হবে। এই অংশ টুকু প্রটেকশানে থাকবে। বাকী এলাকা নিরাপদ নয়। এখানেসহ পুরা এলাকায় মৎস্য ঘের মালিকদের আ্উট ড্রেন ব্যবস্থা করে মৎস্য ঘেরকে পৃথক বাধ দিয়ে মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। তাহলে সড়কটি ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। এই সড়কটিকে একই ভাবে আউট ড্রেনেজ ব্যবস্থার আওতায় আনতে সরকারি ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া ঝরুরী বলে এলাকাবাসী মনে করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)