শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ৬ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » ডুমুরিয়ায় এখন ১ লক্ষ মানুষের জন্য একজন ডাক্তার ঃ ডাক্তার রোগী উভয়ে ভোগান্তীতে
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » ডুমুরিয়ায় এখন ১ লক্ষ মানুষের জন্য একজন ডাক্তার ঃ ডাক্তার রোগী উভয়ে ভোগান্তীতে
৪৩৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৬ মার্চ ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডুমুরিয়ায় এখন ১ লক্ষ মানুষের জন্য একজন ডাক্তার ঃ ডাক্তার রোগী উভয়ে ভোগান্তীতে

---
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া।
খুলনার ডুমুরিয়ায় মাত্র ৪ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও উপজেলার ১৪ টি ক্লিনিক। এতে করে ১ জন ডাক্তারের কাঁধে ভর করে আছে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ।ফলে ডাক্তার ও রোগী উভয়ে আছেচরম ভোগান্তীতে।আর এ ভোগান্তী এক দিনের নয়,গত ৫ মাস ধরে,যেন দেখার কেউ নেই।লম্বা লাইনেদাড়িয়ে ও দির্ঘ সময় নষ্ট করে নিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা এমন অভিযোগ রোগীদের।তবে আশার কথা হল মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন এক সপ্তাহের মধ্যে এ ভোগান্তী দুর করা হবে।আর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ওপরিকল্পনাকর্মকর্তা বলছেন যত কষ্টই হোক না কেন বিনা চিকিৎসায় বাড়ী ফিরছেনা কোন রোগী।জানাযায় ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ২‘শ ৪৩ টি গ্রামে ৩ লক্ষ,৩৫ হাজার,৯শ২৭ জন লোকের বসবাস।এখনে রয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল ও ১৪ টি ক্লিনিক।এ জন্য ২৪ জিন  ডাক্তার বরাধ্য থাকলেও আছে মাত্র ৪ জন ডাক্তার।সার্জারী,গাইনী,মেডিসিন ও এ্যান্সেথেশিয়া সহ ৪ জন কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও।পরীছন্ন কর্মি ৫ জনের স্থানে রয়েছে মাত্র এক জন।সব মিলে ডাক্তার,রোগী ও হাসপাতাল নিজেরাই যেন রোগী হয়ে পড়েছে।রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নেয়া এখন সবচেয়ে যন্ত্রনা দায়ক হয়ে পড়েছে এমনটি উল্লেক করে লম্বা লাইনে দাড়ানো রোগী মেছাঘোনার ঝর্না বেগম,চিংড়া অঞ্জনা রায়,রেনুকা বালা,শোভনার আমির হোসেন,পূর্ব ডুমুরিয়ার জোনাবালী,আরাফাত হোসেন সহ অনেকের সাথে।তারা জানান প্রায় এক ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে আছি।এ যে কত যন্ত্রনার তা বুঝাবো কিভাবে।সাথে যন্ত্রনায় আছে ডাক্তাররাও।তাদের কি দোষ দিব,ডাক্তার না থাকায় রোগীর এত চাপ কুলাতে যেমনি হিমসিম খাচ্ছে ডাক্তার নিজে,তেমনি আমাদেরও ভোগান্তীর শেষ নেই।আমাদের এত কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই।কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ্এসএম মারুফ হাসানের সাথে।তিনি জানান প্রতিদিন আউট ডোরে প্রায় আড়াই/তিন‘শ রোগী হয়।যেখানে মাত্র ৪ জন ডাক্তার রয়েছে,সেখানে রোগীরভীড় ও লাইনে দাড়ানো অসাভাবিক কিছু নয়।আমি নিজেও লাইনে দাড়িয়ে রোগী দেখছি।যেন কেহ বিনা চিকিৎসায় বাড়ী ফিরে না যায়।তিনি আরো বলেন জরুরী বিভাগ,রাতে নাইট,সকাল ও রাতে রাউন্ড সহ আউট ডোর সামলাতে রোগীদের সাথে আমরাও রোগী হয়ে পড়ছি।ডাক্তার স্বল্পতা না কাটলে এ ভোগান্তী দুর হবে না।কথা হয় সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাকের সাথে।তিনি জানান ডাক্তার স্বল্পতার কারনে এই মুহুর্তে কিছুই করান নেই। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ জানান জন ভোগান্তীর কথা জানতে পেরে রবিবার সকালে হাসপাতাল পরিদর্শন ও রোগীদের খোজ খবর নেয় হয়।এ বিষয়ে বিভাগিয় পরিচালকের সাথে কখা হয়েছে।আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে জনদূর্ভোগ আর থাকবে না।





আর্কাইভ