শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ১৬ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পাইকগাছায় সজিনার বাম্পার ফলন হয়েছে
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পাইকগাছায় সজিনার বাম্পার ফলন হয়েছে
৪৫৬ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৬ মার্চ ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় সজিনার বাম্পার ফলন হয়েছে

---

পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ পাইকগাছায় সজিনার ব্যাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর সর্বোচ্চ সজিনার ফলন হয়েছে। সজিনায় উচ্চ মূল্য পাওয়ায় চাষীরা খুশি। শুরুতে সজিনার কেজি একশ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৭০/৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মূল্যবেশি পাওয়ায় কৃষকরা সজিনার ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজনে গাছ যতœ ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষগুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯ সালে ১৬ হাজার ও ২০ সালে ৯ হাজার মোট ২৫ হাজার সজিনার শাখা বা ডাল রোপন করা হয়েছে। রোপনকৃত ডালে প্রায় ৩০ শতাংশ মারা গেছে। দেশে ২টি জাত আছে, একটি হালো সজিনা ও আর একটি নজিনা। ভারত থেকে হাইব্রিড সজিনার জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজিনা গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস। গত বছর উপজেলায় ২১ হাজার সজিনার ডাল রোপন করা হয়েছে।

সজিনা গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজিনার পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুনও আছে। তাই সজিনা গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। সজিনার পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধীগুন তো আছেই। সজিনার পাতায় যে পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা অনেক পুষ্টিকর খাবারেও নেই। যেমন, ডিমের চেয়ে বেশী আমিষ, দুধের চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, কমলার চেয়ে বেশী ভিটামিন সি, কলার চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, গাজরের চেয়ে বেশী ভিটামিন এ আছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর অসময়ে ঝড়বৃষ্টি হয়নি, সজিনার ফুল আসার আহে শৈতপ্রবাহ হয়নি ও কুয়াশাও তেমন একটা পড়েনি। সর্বপরি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর সজিনার সর্বোচ্চ ফলন হয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রতি বাড়ীতে কমবেশি সজিনা গাছ আছে। সজিনা পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনা ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতি বছর উপজেলায় সজিনা গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সজিনার উচ্চমুল্য পাওয়ায় তারা লাভবানও হচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)