শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
বুধবার ● ২৯ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের আহবান
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের আহবান
২৩২ বার পঠিত
বুধবার ● ২৯ জুন ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের আহবান

পরিতোষ কুমার বৈদ্য;শ্যামনগর প্রতিনিধি, সাতক্ষীর; সোমবার ২৯ জুন সকাল সাড়ে ১০ টায় লিডার্স এর সহযোগিতায় কয়রা উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও উপজেলা যুব ফোরামের আয়োজনে কয়রা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে কয়রার সর্ব স্তরের জনগণ।

---জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সহ-সভাপতি সুজীৎ কুমার রায় এর সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধনের স্বপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক মনোজীৎ কুমার রায়, প্রভাষক প্রীতিশ রঞ্জন যোদ্দার, ফোরামের কোষাধ্যক্ষ পারুল আক্তার, যুব ফোরামের সদস্য মোঃ তরিকুল ইসলাম ও নাহিদ হাসান প্রমূখ। বক্তারা বলেন, ক্রমবর্ধমান দুর্যোগের ফলে উপকূলের মানুষের খাদ্য সংকট, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, জীবিকার উৎস হ্রাস, অপুষ্টি, সুপেয় পানির অভাবে রোগ ব্যাধি বৃদ্ধিসহ প্রতি বছর প্রচুর আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির সমুক্ষীন হয়। লিডার্সের গত ২০২১ সালের গবেষনা প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সাতক্ষীরা ও খুলনার উপকুলীয় এলাকায় প্রতিবছর পরিবার প্রতি ১,০২,৪৮৯ টাকার সমান ক্ষতি হয়। দুর্যোগে ১৬ বছরে সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়েছে ৫০,৪০,০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ম ক্ষতি হয়েছে ৪৫,২০০ টাকা।মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে উচ্চ জোয়ারের চাপ দেখা না গেলেও ২০২১ সালে ২৬ মে সাইক্লোন ইয়াস এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ জোয়ারের কারনে খুলনা জেলার কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ উপজেলা এবং বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়লগঞ্জ ও মংলা উপজেলা বেড়িবাঁধ উপচিয়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করে ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করেছে। বর্ষা মৌসুম নদীর খরস্রোতে ও উচ্চ জোয়ারের কারনে বেড়িবাঁধ ভেঙে আবারও প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে মানুষের জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থানসহ অন্যান্য সংকট আরও বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া ৬০ এর দশকে নির্মিত উপকূলীয় রক্ষা বেড়িবাঁধ পরিকল্পনা মাফিক সংষ্কারের অভাবে প্রতিবছর একাধিক বার ভেঙ্গে প্লাবিত করে আরো বেশী ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে উপকূলীয় এলাকাবাসীকে। সম্প্রতি সরকার ২টি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা এ এলাকার মানুষের দাবী ছিল। কিন্তু উক্ত প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু হয়নি। তাছাড়া এই ২টি প্রকল্প দিয়ে সকল ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নির্মানও সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষার জন্য এ এলাকাকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ন এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। মানববন্ধন ও সমাবেশে দাবী তুলে ধরে বক্তারা বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলাকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ বা দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে দ্রুত স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মান করতে হবে, উপকূলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে, উপকুলীয় এলাকায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদলে একটি বাড়ি একটি শেল্টার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। 





আর্কাইভ