শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ২০ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার পাড়ার শিল্পীরা
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার পাড়ার শিল্পীরা
৯৪৫ বার পঠিত
সোমবার ● ২০ আগস্ট ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার পাড়ার শিল্পীরা

---
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
সামনে ঈদুল আযহা তাই এই ব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পীরা। কামারবাড়ী দিন-রাত টুং-টাং শব্দের মুখরিত হচ্ছে। হারিয়ে যেতে বসা বাংলার প্রাচীন কামার শিল্প যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এখন দম ফেলারও ফুরসত নেই কামার পাড়ার শিল্পীদের। দিন-রাত সমান তালে লোহার টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার প্রতিটি কামার পাড়া।
ঈদুল-আযহার আর কয়েকদিন বাকি। উপজেলার সদর, নতুন বাজার, গদাইপুর, আগড়ঘাটা, কপিলমুনি, বাঁকা, আমাদী, চাঁদখালী, কাটিপাড়া, বোয়ালিয়ার মোড় সহ বিভিন্ন হাট বাজার সহ কামার বাড়ীতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের ছোরা, চাপাতি, চাকু, দা, বটি, কুড়াল সহ বিভিন্ন সরজ্ঞাম তৈরি করছে কামাররা। তাহা ছাড়া ক্রেতাদের পছন্দমত বিভিন্ন মাপের পশু জবাই করার ছোট-বড় ধারালো অস্ত্র তৈরী করছে। সারা বছর টুক-টাক কাজ থাকলেও কোরবানির ঈদেও সময় কামার শিল্প মুখরিত হয়ে ওঠে। কামার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসময় দোকানে পুরাতন ও নতুন ধারালো অস্ত্র বানানো ও মেরামতের ভীড় শুরু হয়। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই ব্যস্ততা থাকে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে কামার শিল্পে। বৈদ্যুতিক সান দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম সান দেওয়া হয় ও জাতা দিয়ে বাতা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে মটর। বোয়ালিয়া মোড়ে অবস্থিত কামার শিল্পী বিমল কর্মকার ও মনোরঞ্জন কর্মকতার বলেন, লোহা ও  কয়লার দাম বেড়েগেছে। সাধারণ লোহা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা ও গাড়ীর পাতি ৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি ক্রয় করতে হয়। পশু জবাই করার ছোট-বড় বিভিন্ন সরজ্ঞাম সাইজের উপর দাম নির্ভর করে। ছোট চাপাতি ৫শত টাকা, বড় চাপাতি ৭ শত থেকে ৮ শত, বড় ছোরা ৩ শত থেকে সাড়ে ৩ শত, চাকু ৫০ টাকা থেকে দেড় শত টাকা, বটি আড়ই শত থেকে ৩ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এই পেশায় আমরা খুব অবহেলিত। বর্তমান দ্রব্যমূল্য বেশি হলেও সেই অনুযায়ী দাম পাই না। ফলে সারাবছর সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। কোরবানির ঈদের সময় পশু জবাইয়ের সরজ্ঞামের চাহিদা থাকায় কাজও বেশি হয়। আর সারাবছর তেমন কোন কাজ থাকে না। টুক-টাক কাজ করে সংসার চালাতে হয়, তাই কামার শিল্পীরা বর্তমান এ পেশায় তাদের অবহেলিত মনে করেন। তারপরও পেশা টিকে রাখতে সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)