শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
মঙ্গলবার ● ৬ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছেঃ
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছেঃ
৬১৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৬ আগস্ট ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছেঃ

---

এস ডব্লিউ নিউজ:

পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। এ হাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় চোখে পড়ার মত। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই হাট বসবে। ছোট-বড়, মাঝারি সাইজের গরু হাটে উঠেছে। তবে দাম নিয়ে খুঁশি না কোন পক্ষই। ক্রেতা বলছেন দাম বেশি আর বিক্রেতা বলছে দাম কম। তবে গৃহস্থদের পালা স্বাস্থ্যসম্মত দেশী জাতের গরু স্থানীয় ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে চাহিদা বেশি। যাহা স্থানীয় হাটগুলোতে টাইট গরু হিসাবে পরিচিত। তবে বড় সাইজের গরুর চাহিদা কম আর বেশি দামের অজুহাতে ক্রেতা ভিড়ছেও কম।

---

হাট কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছেন। কোরবানী পশুর হাটে যাতে কেউ রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করতে না পারে তার তদারকি করছে হাট কর্তৃপক্ষ। এ বছর কোরবানীর পশুর হাটে দেশীয় জাতের মাঝারি আকারের পশুর চাহিদা বেশি। লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঔষধ দিয়ে মোটাতাজা করা গরুর চাহিদা কম। এ কারণে উন্নত জাতের মোটা তাজা করণ খামারের পশুর চাহিদা কম।

উল্লেখ্য, উপজেলার চাঁদখালী ও কাশিমনগর দুটি স্থায়ী এবং গদাইপুর হাট, জিরোপয়েন্ট ও বাঁকা বাজারে ৩টি অস্থায়ী সহ মোট ৫টি পশু হাট বসেছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানীর পশুর হাট গুলোতে গৃহপালিত, খামারী ও ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত গরু ও ছাগল সরবরাহ করছে। সেই সাথে ক্রেতা সংখ্যাও বাড়ছে। ক্রেতারা পছন্দের কোরবানীর পশুটি ক্রয়ের জন্য বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করে রাখছে। কোরবানীর আগের দিন পশুটি ক্রেতার কাছ থেকে গ্রহণ করবে। হাট গুলোতে ছোট ট্রাকে করে ফরিয়াররা গরু নিয়ে আসছে। এ সব বাজারে ছোট গরু সর্বনিন্ম ৩০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে। বিগত বছর গুলোতে বিদেশী জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দেশি জাতের ৩৫ হাজার মূল্যের মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরুর বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। বড় গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ৬ থেকে ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা সাচ্ছন্দের সহিত হাটগুলো থেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করছে।

খুলনা বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদ আহমেদ খান বলেন, খুলনার ১০ জেলার চাহিদা অনুযায়ী খামার গুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যাক পুশু আছে। অভ্যান্তরীন উৎপাদিত পশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এতে স্থানীয় খামারীরা লাভবান হবেন। পাইকগাছা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জানান, হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণীসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। হাট কমিটির উদ্যোগে বাজার মনিটরিং ও প্রচারের জন্য মাইকের ব্যবস্থা করে ক্রেতাদের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। কোরবানির পশু বাণিজ্য ঘিরে জালনোট রোধ ও হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন পাইকগাছা থানা পুলিশ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)