![দোল পূর্ণিমা](https://www.swnews24.com/cloud/archives/2021/03/download4-micro.jpg)
![SW News24](https://www.swnews24.com./cloud/archives/fileman/logo.jpg)
বুধবার ● ৩০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » পাইকগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাজা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে মানবাধিকার কর্মীর সংবাদ সম্মেলন
পাইকগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাজা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে মানবাধিকার কর্মীর সংবাদ সম্মেলন
পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ পাইকগাছার চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গাঁজা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে মানবাধিকার কর্মী মশিউর রহমান। ৩০মার্চ বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব পাইকগাছায় সংবাদ সম্মেলন করেন চাঁদখালী ইউনিয়নের চককাওয়ালী গ্রামের মশিউর রহমান। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী ও চাঁদখালী কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি চাঁদখালীতে অবৈধ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা, মাদক কারবারী, ভূমিদস্যু ও অবৈধ চুল্লি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাসসহ সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন। এ কারণে ১৯ মার্চ ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা ইলিয়াসের চাচাতো ভাই জিয়াউর রহমান ওরফে কমল জিয়াসহ ৪-৫ জন তাকে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনায় তিনি থানা তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। থানায় অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি হুমকিসহ মাদক মামলায় ফাঁসানোর কথা প্রচারসহ আস্ফোলন করে। ২২ মার্চ সকাল আনুঃ সাড়ে ১১টায় চাঁদখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের নিচে চায়ের দোকানে বসে সে চা পান করছিল। সে সময় তার কাছে স্থানীয় মোছাল সরদার মোবাইল ফোনে তাকে চাঁদখালী বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষের চরে যাওয়ার জন্য ডাকে। মশিউর রাজী না হওয়ায় কিছুক্ষণ পরে কুদ্দুস গাজীর পুত্র মহিত গাজী তাকে ডেকে বাজারের কাটায় নিয়ে যায় এবং সেখানে জব্বার শেখের পুত্র শাহাজাদা, সবুর সরদারের পুত্র হাবিবুর, কাদের পুত্র রায়হান, কিনুর পুত্র শুকুর ও মৃত আসমতের পুত্র মোছাল সরদার তাকে বেদম মারপিট করে আহত করে ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এরপর পার্শ্ববর্তী আজিজের চায়ের দোকানে ছাগলের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। তারপরে তাকে বাঁধা অবস্থায় মারতে মারতে টেনে হিছড়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করে। চেয়ারম্যান ঘটনা জানতে চাইলে তারা বলে মশিউরের কাছে গাজা আছে। কিন্তু চেয়ারম্যান তার শরীর তল্লাশী করে কোন গাজা পায় নাই। এ সময় রায়হান পরিষদের বাহিরে থেকে গাজার মোড়ক এনে চেয়ারম্যানকে দেখায় এই তার গাজা। চেয়ারম্যান ঘটনাটি কোন সঠিক তদন্ত ছাড়াই থানা পুলিশে সপর্দ করে। এ ঘটনায় মশিউর রহমান মামলা থেকে জামিন নিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের বিচারসহ তার নিরাপত্তার দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।