শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ১ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আশাশুনির প্রতাপনগরে জেলে কার্ডের চাউল বিতরণ
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আশাশুনির প্রতাপনগরে জেলে কার্ডের চাউল বিতরণ
১৪৪ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১ জুন ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আশাশুনির প্রতাপনগরে জেলে কার্ডের চাউল বিতরণ

আশাশুনি ---: আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নে জেলে কার্ডধারীদের মাঝে সরকারি সহায়তার চাউল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় হতে চাউল বিতরণ করা হয়। প্রতাপনগর ইউনিয়নে সর্বমোট ২৫ শত ৫৯ জন কার্ডধারী জেলে রয়েছে। পরবর্তীতে নতুন করে আরও কিছু জেলে নিবন্ধিত হয়েছেন। এসব কার্ডধারীদের মধ্যে সরকার ১ হাজার ৪৮৯ জনকে সহায়তা স্বরূপ চাউল বরাদ্দ দিয়েছে। প্রত্যেক জেলের জন্য ৫৬ কেজি করে চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চাউল বিতরণ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ ঢালী। বিতরণ কার্যক্রম তদারকিতে ছিলেন ট্যাগ অফিসার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু সেলিমের প্রতিনিধি নাকনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াসাত আলী। বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন, সিনিঃ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার ও সহকারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এসময় সকল ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী দিনে ১নং ওয়ার্ডের ৩৮৩ জন, ৮নং ওয়ার্ডের ৫৮ জন ও ৯নং ওয়ার্ডের ১০১ জন, সর্বমোট ৫৪২ জন কার্ডধারী ও তালিকাভুক্ত জেলেকে চাউল প্রদান করা হয়। বাকী তালিকাভুক্তদেরকে আজ ও কাল চাউল প্রদান করা হবে। চাউল বিতরণ চলাকালে কোন কার্ডধারীকে চাউল কম দেওয়া হয়েছে দাবী করে পরিষদের সামনে সাবেক চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন ও তার লোকজন জড়ো হয়ে প্রচার দিলে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৎক্ষনাক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ নিজে উপস্থিত থেকে প্রত্যেক কার্ডধারীর ন্যায্য পাওনা চাউল বিতরণ নিশ্চিত করেন। এবং কাউকে কম দেওয়া হচ্ছেনা এবং কম দেওয়া হবেনা এমন ঘোষণা দিয়ে কেউ কম পেলে তাকে জানাতে ঘোষণা দিয়ে কার্যক্রমকে যথারীতি এগিয়ে নেন। ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, আব্দুর রউফ, মোকছেদুর রহমান, আয়ুব আলি, কামরুল ইসলাম ও রায়হানুজ্জামান বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন এবং কোন অনিয়ম করা হয়নি বলে দাবী করেন। তারা বলেন, গোডাউন থেকে চাউল নেওয়ার সময় প্রতি বস্তায় ৩০০ গ্রাম থেকে ৬/৭ শ’ গ্রাম করে চাউল কম ছিল। তাছাড়া বস্তার ওজনও চাউলের সাথে ধরা। সংগত কারনে সামান্য কিছু চাউল কম দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আছে। তারপরও চেয়ারম্যান সাহেব সর্বোচ্চ পরিমান চাউল বিতরণ করে থাকেন। বিতরণকালে শেষ পর্যায়ে দেখা যায় চাউল কম পড়ে গেছে, তখন চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগত অর্থে চাউল ক্রয় করে বিতরণ করতে হয়। এ অভিজ্ঞতা বরাবরই আছে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার জানান, তিনি চাউল বিতরণকালে পরিষদে ছিলেন। বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করেছেন।





আর্কাইভ