

মঙ্গলবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » খুলনা নগরীর পঞ্চবীথি ক্লাব দখল করে টানানো হলো গণঅধিকার পরিষদের ব্যানার
খুলনা নগরীর পঞ্চবীথি ক্লাব দখল করে টানানো হলো গণঅধিকার পরিষদের ব্যানার
খুলনা নগরীর পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্রের কার্যালয়ের জায়গায় গণঅধিকার পরিষদের ব্যানার টানানো হয়েছে। ক্লাব সদস্যদের অভিযোগ, গতকাল সোমবার দোতলা ভবনের তালা ভেঙে পঞ্চবীথির সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে সেখানে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানার টানান নেতাকর্মী। ব্যানারের কথা স্বীকার করলেও দলটির নেতারা বলছেন, তারা অবৈধভাবে দখল করেননি।
নগরীর শান্তিধাম মোড়ের একটি দোতলা ভবনে প্রায় ১৪ বছর ধরে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্রের কার্যালয় রয়েছে। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মোল্লা জানান, ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে তারা ক্লাবের কার্যালয় করেন। বরাদ্দ নেওয়ার পর যুবলীগ নেতা নাহিদ মুন্সী তাঁর মায়ের নামে ভুয়া বরাদ্দ নিয়ে আসেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা করে ক্লাব কমিটি। মামলাটি আদালতে চলমান। বরাদ্দ নেওয়ার পর থেকেই ভবনটিতে পঞ্চবীথির কার্যালয় রয়েছে।নাজমুল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, গণঅধিকার পরিষদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী গতকাল দুপুরে ক্লাবের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা আমাদের সাইনবোর্ড নামিয়ে তাদের ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। আমরা ক্লাবের সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ভবনের নিচতলার একটি ও দোতলার চারটি কক্ষে পঞ্চবীথির কার্যক্রম চলে। অন্যান্য কক্ষে একাধিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের কার্যালয় রয়েছে। গতকাল গণঅধিকার পরিষদের লোকজন ক্লাব ভবন দখল করে নিয়েছে।
বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, ভবনের দোতলায় পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্রের সাইনবোর্ডের জায়গায় গণঅধিকার পরিষদ, খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয় লেখা একটি ব্যানার ঝুলছে। গণঅধিকার পরিষদের কয়েক নেতাকর্মী ভবনের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে আছেন। কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন দোতলার বারান্দায়।
এ ব্যাপারে গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, পঞ্চবীথি ক্লাবে জুয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম চলত। আমাদের ছেলেরা সেগুলো বন্ধ করে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে। ভবনটি গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন প্রক্রিয়া ৭০ শতাংশ এগিয়েছে। শিগগিরই আমরা অনুমতি পেয়ে যাব। তখন ভবন ব্যবহার করব।