

শনিবার ● ৯ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় পাট চাষীর সোনালী স্বপ্ন অতিবৃস্টিতে ভেসে গেছে
পাইকগাছায় পাট চাষীর সোনালী স্বপ্ন অতিবৃস্টিতে ভেসে গেছে
অতিবৃষ্টির কারণে পাইকগাছার পাট চাষীদের সোনালী স্বপ্ন যেন পানিতে ভেসে গেছে। মাঠ ভর্তি সোনালী ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে কৃষকরা হতাশ। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে পাট পচে যাওয়া, ক্ষেত ডুবে যাওয়া এবং বাজারে ভালো দাম না পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পাট চাষের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পাট পচে যাচ্ছে এবং ফলন কমে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে পাট পচে যাওয়ায়, কৃষক তাদের সোনালী স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না।
কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাটের বীজ বপন থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত খরচ সহ পরিশ্রম মিলিয়ে মুলধন ঘরে উঠবে কিনা এখনই কৃষকেরা করছেন তার হিসেব নিকেশ। নতুন পাট বাজারে প্রায় তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শ্রমিক সংকট ফলে বেশি দরে শ্রমিক নিয়ে পাট কাটতে হচ্ছে, ধোয়া খরচও বেশি সে ক্ষেত্রে পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে বেশ হতাশায় রয়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। লবনাক্ত পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী, পৌরসভার জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।উপজেলার হিতামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টি না হলেও পাটের আবাদ ভাল হয়েছিলো। পাট তিন চার ফুট উচু হলো একটানা অতিবৃস্টিতে পাট ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়ে, এ পানি আর নিস্কাশন না হওয়ায় পাটে গোড়া পচা শুরু হয়, পাট তেমন বড় হয়নি। কৃষক সামাদ জানান, বিঘা প্রতি দুই মন পাট হতে পারে। পাট কাটা, ধোয়া ও শুকানো চলছে। পাট ছোট হওয়ায় আশও ভালো হয়নি।
অতি বৃস্টিতে পাট ভালো হয়নি তার উপর কাটা, ধোয়া ও শুকানো খরচ মিটাতে কৃষক হিমসিম খাচ্ছে। এদিকে পাট কাটা শেষে সেগুলো জাগ দিয়েছেন পানিতে। জাগ শেষে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পর চলবে শুকানোর পালা। পরিশেষে বিক্রির জন্য পাট নিয়ে যাবে কৃষক হাটে। পাটের দামের উপর চাষীর খরচ নিরুপন হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের প্রণোদনা হিসাবে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। পাট চাষের শুরুতে বৃস্টি হয়নি,পাট কিছুটা বড় হলে অতিবৃস্টির কারণে পাটের আবাদ ভালো হয়নি। পাট বড় হতে না পারায় আশের মানও খারাপ হয়েছে এতে কৃষকরা আশানারুপ দাম পাচ্ছে না। খরচের টাকা না উঠায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।