শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

SW News24
বুধবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » বিবিধ » নেতৃবৃন্দের নামে অপপ্রচার,মন্দিরের রান্না ঘর দখল চেষ্টায় নগর পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ
প্রথম পাতা » বিবিধ » নেতৃবৃন্দের নামে অপপ্রচার,মন্দিরের রান্না ঘর দখল চেষ্টায় নগর পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ
১০২ বার পঠিত
বুধবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নেতৃবৃন্দের নামে অপপ্রচার,মন্দিরের রান্না ঘর দখল চেষ্টায় নগর পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ

---নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা অপপ্রচার, অবৈধভাবে কেশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের কমিটি গঠন ও রাধা মাধব মন্দিরের রান্না ঘর দখল চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অবৈধভাবে গঠিত কেশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজ কমিটির কতিপয় সদস্য পূজার ভোগ রান্নার স্থানটি জোরপূর্বক দখল নিয়ে সেখানে দোকান ঘর নির্মাণ করতে চায়। কিন্তু কোন ধর্মীয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসার সুযোগ নেই। একইভাবে বিগত ৮-১০ বছর পূর্বে দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী ও কৃষ্ণপদ রায় ওরফে কেপি রায় দোকান ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভবনের প্রাচীর ভেঙে ফেলেছিল। তৎকালীন প্রশাসনের ভর্ৎসনায় তারা পুনরায় প্রাচীর নির্মাণ করতে বাধ্য হন। ওই সময় তাদের উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় পুনরায় তারা একই চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা অপপ্রচার প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মন্দির ও কলেজের অভ্যন্তরীন বিষয়ে মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদ কোনো ভাবেই সম্পৃক্ত নয়। অথচ কলেজ কমিটির অবৈধ সভাপতি দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী তার সংবাদ সম্মেলনে পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডসহ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যে মিথ্যাচার, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও অনৈতিক বক্তব্য প্রদান করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

পূজা উদ্যাপন পরিষদ সম্পূর্ণ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংগঠনের কোন সদস্য কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নন। রাজনৈতিক দলের যে ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণীত ও ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা মাত্র। চিন্ময় দাস প্রভুর পান্ডা হিসেবে যে মিথ্যাচার করা হয়েছে তা সঠিক নয় বরং ব্যক্তি আক্রোশ ও অন্যকে হেয় করার নোংরা মানসিকতা। কেন না চিন্ময় দাস প্রভুর “সনাতনী জাগরণ মঞ্চ” নামে একটি সংগঠন রয়েছে। খুলনা মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেউ এই সংগঠনের সাথে জড়িত নন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পষিদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বিজয় ঘোষ, খুলনা মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের উপদেষ্টা অশোক সেন, কমলেশ সানা, সভাপতি শ্যামল হালদার, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, যুগ্ম-সম্পাদক তিলক গোস্বামী, বিশ^জিৎ দে মিঠু, কোষাধ্যক্ষ রতন কুমার নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল ব্যানার্জী, আইন সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ মন্ডল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজিত মজুমদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পঙ্কজ দত্ত, সহ-সাস্কৃতিক সম্পাদক এড. আনন্দ কুমার ঘোষ, সহ-গণসংযোগ সম্পাদক রবীন দাস, শ্রীশ্রী রাধা মাধব মন্দিরের সভাপতি শান্ত বৈকুণ্ঠ দাস ব্রহ্মচারী, প্রধান সেবায়েত বৈষ্ণব বলরাম দাস, কেশবচন্দ্র সার্বজনীন মন্দিরের সভাপতি সঞ্জীব বনিক, সাধারণ সম্পাদক শুভ্রদেব দে শুভ, দিপু সমাদ্দার, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সদর থানা সভাপতি বিকাশ কুমার সাহা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পাপ্পু সরকার, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি বিপ্লব মিত্র, সাধারণ সম্পাদক রামচন্দ্র পোদ্দার, খালিশপুর থানা সভাপতি রজত কান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক দিপক দত্ত, দৌলতপুর থানা সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী, খানজাহান আলী থানা সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দত্ত, হরিণটানা থানা সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায়, লবনচরা থানা সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখর চন্দ্র পাল, আড়ংঘাটা থানা সভাপতি আশিষ কবিরাজ, তীর্থালোক সংঘের সাধারণ সম্পাদক স্বপন চক্রবর্তী, উজ্জল রায়, দুলাল সরকার, শ্যামল মিস্ত্রী ও অসিত সরকার প্রমুখ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)