শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ৪ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় তরমুজের বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাসি
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় তরমুজের বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাসি
৪৭২ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৪ মে ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় তরমুজের বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাসি

---

এস ডব্লিউ নিউজ ॥

পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। পাইকগাছায় ২শ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত তরমুজ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৪০ মেট্রিকটন। বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে  তরমুজের আবাদ। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এদিকে অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় অধিক লাভবান হয়েছেন তরমুজ চাষীরা।

সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২শ হেক্টর জমিতে উন্নত ড্রাগন ও পাকিজা জাতের তরমুজের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে দেলুটিতে ১৭৫ এবং গড়ইখালীতে ২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুন। অত্র এলাকা তরমুুজ চাষের জন্য সমৃদ্ধ হলেও অতিতের যে কোন বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট চাষীরা জানিয়েছেন। এ বছর হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪০ মেট্রিকটন। দেলুটির ২২ নং পোল্ডারে সৈয়দখালী, কালিনগর, ফুলবাড়ী, হাটবাড়ী, সেনেরবেড় এলাকায় ব্যাপক তরমুজের আবাদ হয়েছে। এ এলাকার তরমুজ চাষী লোচন সরকার, নান্টু বাওয়ালী, মন্টু সরকার জানান, তারা সারা দিন তরমুজ ক্ষেতে ব্যস্তসময় পার করছে। তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ও তরমুজ চাষী সমরেশ  হালদার প্রায় ৯ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছে। তিনি জানান, বিগত বছরের থেকে তরমুজের উৎপাদন অনেক বেশি এবং আশানারূপ মূল্য পাওয়ায় তিনি খুশি। দেলুটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উদয় কুমার কুন্ড জানান, তরমুজের  বীজ বপন করার পর থেকে এই পোল্ডারে তরমুজের ভাল উৎপাদনের জন্য তরমুজ চাষীদের পরামর্শ ও তদারকি অব্যাহত রেখেছেন। দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান, কৃষি বিভাগের সার্বিক তদারকিতে ইউনিয়নের ২২নং পোল্ডারে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করে কৃষকরা বিঘা প্রতি আয় করছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ বছর ভাল ফলন হওয়ায় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজ চাষ নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। চলতি মৌসুমে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি মনে করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল, বীজ রোপন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যায়। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভজনক হওয়ায় চলতি মৌসুমে  উপজেলায় ২শ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক তদারকি ও সহযোগিতা করায় এ বছর প্রায় ৪০ মেট্রিকটন তরমুজের গড় উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন ভাল হওয়ায় একদিকে তরমুজ চাষীরা যেমন লাভবান হয়েছেন তেমনি অন্যান্য চাষীদের মধ্যে তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে। ফলে আগামী বছর তরমুজের আবাদ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)