শুক্রবার ● ৭ মে ২০২১
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » কেশবপুরে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় : মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি
কেশবপুরে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় : মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর থেকে :
ভ্যাপসা গরম ও করোভীতি উপেক্ষা করে যশোরের কেশবপুরে ঈদের কেনাকাটায় বিপুনিতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউই মানছেনা করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা। কেশবপুর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় সকল প্রকার গার্মেন্টস, শাড়ী বিতান, সু-ষ্টোর, ফ্যাশান’শো, কসমেটিকস, ও জুয়েলারী দোকান গুলো ক্রেতাদের পদচারনণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। দেখলে মনে হয় না করোনা বলে কিছু আছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বাজারের দোকান গুলিতে চলছে বিকিকিনি।
ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন ধরণের ক্রেতাদের সমাগম বাড়ছে। বড় দোকান গুলোতে মধ্যবিত্ত ও অধিক আয়ের লোকদের ভীড়ে মুখরিত মধ্যরাত পর্যন্ত। নিন্ম আয়ের লোকদের আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে নিজের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে প্রিয় জিনিস কেনা-কাটা করতে ফুটপাতের দোকানসহ মাঝারী দোকান গুলিতে ভীড় জমাচ্ছে। পছন্দসই জিনিস কিনতে ক্রেতারা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত দোকান থেকে দোকানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গার্মেন্টেসের দোকানে বাচ্ছাদের পোষাকের দাম সব চেয়ে বেশী। ৮শ’ টাকা থেকে ৫হাজার টাকা পর্যন্ত বেচা-কেনা হচ্ছে বাচ্ছাদের পোষাক। এবারও ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের নাম করণে এসব পোষাকের চাহিদা বাচ্ছাদের পাশা-পাশি বড়দেরও। লোটো, সম্রাট, বাটা, লিবার্টি জুতার শোরুম গুলিতে বেচা-বিক্রীর মহোৎসাব চলছে, লোটো শোরুমের সত্বাধিকারী বিশ্বাস ওয়াহিদুজ্জামান বলেন করোনাকালে বেচা-বিক্রি মেন ভাল না তবু খুশি। এছাড়া কসমেটিকসের দোকান গুলিতে সাবান চুড়ি সেন্টের পাশাপাশি ভারতীয় সিনেমার নায়িকাদের দিয়ে তৈরী চটকদার বিজ্ঞাপন সংম্বলিত মেহদী কেনার উৎসবে মেতেছে ছোট-বড় সব বয়সী মেয়েরা। এদিকে ঈদের কেনা কাটায় ক্রেতাদের নিরাপত্তায় রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদরী, জানালেন কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন। তিনি আরো বলেন, পুলিশের টহল, সাদা পোশাকে পুলিশ, আনছার সহ শহরজুড়ে রয়েছে নিরাপত্তা বলয়ে বেষ্টিত।