শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
রবিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » চামড়া কিনছেন না মাগুরার ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিং
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » চামড়া কিনছেন না মাগুরার ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিং
৭৫৪ বার পঠিত
রবিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চামড়া কিনছেন না মাগুরার ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিং

---
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় এবার কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে অনেকেই বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে দিয়ে দিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে কেউবা চামড়া ফেলে দিয়েছেন বর্জ্য হিসেবে। এ কারণে বঞ্চিত হয়েছে মাগুরার শত শত এতিমখানা ও লিল্ল্াহ বোর্ডিং।
মাগুরা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সরকার এ বছর গরু চামরার দর নির্ধারণ করেছে ঢাকায় ৫০-৫৫ টাকা প্রতি বর্গফুট, গতবছর যা ছিল ৪৫-৫৫টাকা। ঢাকার বাইরে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫-৫৫ টাকা যা গতবছর ছিল ৪০-৪৫ টাকা। অপর দিকে ছাগলের চামমড়ার দড় ঢাকায় ধরা হয়েছে ১৮-২০ টাকা যা গতবার ছিল ১৬-১৮ টাকা টাকা বর্গফটু। ঢাকার বাইওে নির্ধারণ করা গয়েছে ১৩-১৫ টাকা গতবছর যা ছিল ১১-১৩ টাকা। কিস্তু প্রক্রিয়াজাতকরণ খরচ গত বছর ছিল ১০ শতাংশ এ বছর তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২০ শতাংশ। এবছর ১৩২৫০ টি পশু কোরবানি হলেও ব্যবসায়ীরা ১৭০০ টি মত চামড়া সংগ্রহ করেছে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী অলস দিন কাটাচ্ছেন।
শহরের ইসলামপুর পাড়ার বাসিন্দা মোমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর ঈদের আগে থেকেই চামড়া ক্রয়ের জন্য লোক আসতে শুরু করে। এবছর ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত কেউ আসেনি। বাধ্য হয়ে পাড়শি একজনকে বিনামূল্যে দিয়ে দিয়েছি। অন্যবছরগুলোতে চামড়া বিক্রির টাকা এতিমখানায়দান করি ফলে তারা উপকৃত হয়।এবছর তা সম্ভব হলো না।
শহরের একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা অব্দুল মেমিন বলেন, প্রতিবছর চামড়া বিক্রির টাকা থেকে আমরা একটি ভালো অংকের অনুদান পাই। এবার তা নেই বললেই চলে। আমার এতিমখানার বাচ্চাদেও ভরণপোষণে এটি একটি বড় প্রভাব ফেলবে।
শহরের নতুন বাজার এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী শ্যামল কুমার বলেন, এবছর সরকার নির্ধারিত চামরার দর খুবই কম। ঐ দামে আমরা যত চামড়া কিনব তত লোকসান বাড়বে। একারণেই এবার বাজারে প্রচুর চামড়া থাকা সত্বেও ক্রেতার সংখ্যা ছিল খুবই কম। তাছাড়া ট্যানারি মালিকদেও কাছে প্রত্যেক ব্যবসায়ীই কয়েক লক্ষ করে পুরানো টাকা এখনো পাননি।
অপর ব্যবসায়ী আবু শরীফ বলেন, গত বছর যে চামড়া আমরা দুই হাজার টাকার উপরে বিক্রি করেছি এবার তা সাতশতর বেশি হবে না। তার উপর প্রক্রিয়াজাতকরণে যে লবন লাগে এবছর তার দামও বাড়তি। সবমিলে এবার চামড়া কিনতে উৎসাহ দেখায়নি ব্যবসায়ীরা।
মাগুরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য রসুল মীর বলেন, মাগুরার চামড়া ব্যবসায়ীরা খুবই চাপের মধ্যে আছে। সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া এ ব্যবসায় তাদের টিকে থাকা সম্ভব নয়।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)