শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

SW News24
শনিবার ● ২ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » শিক্ষা » নড়াইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোপনে ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ফোন ! বন্ধে কঠোর নিদের্শনা
প্রথম পাতা » শিক্ষা » নড়াইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোপনে ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ফোন ! বন্ধে কঠোর নিদের্শনা
৪৭১ বার পঠিত
শনিবার ● ২ জুলাই ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নড়াইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোপনে ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ফোন ! বন্ধে কঠোর নিদের্শনা

ফরহাদ খান, নড়াইল ;---শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও নড়াইলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গোপনে ফোন ব্যবহার করায় উদ্বেগ জানিয়ে তা বন্ধে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গত ২৮ জুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান এ নির্দেশনা জারি করেন। এছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধে ঈদুল আজহার ছুটির পর নবম-দশম ও একদাশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যদিও শুক্রবার রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খবর প্রচার করা হয় যে, হঠাৎ করেই নড়াইলে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি এমন নয়। অনেক আগে থেকেই সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন বন্ধে নির্দেশনা জারি করা হয় মাউশি’র পক্ষ থেকে।

২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক আদেশে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদেশটি ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশিত হয়।

ওই আদেশে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন বা শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। এতে শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা শ্রেণির কার্যক্রমে মনোযোগী হতে পারছে না। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।’  শ্রেণিকক্ষে কার্যকরী পাঠদান ও শিখন-শেখানো কার্যক্রম ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও গতিশীল করতে’ মোবাইল ফোনে এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানানো হয়।

যদিও এই আদেশের বাস্তবতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে উদ্বেগ জানিয়ে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে নড়াইলের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধে গত ২৮ জুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যম এই নির্দেশনার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খবর প্রচার করেছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা গোপনে মোবাইল আনছে এবং ভালো-মন্দ, কোনো কিছু বিবেচনা না করে বিভিন্ন ধরণের বির্তকিত পোস্ট লাইক এবং শেয়ার দিয়ে বিব্রতকর ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

এই নির্দেশনা জারির পর বিভিন্ন পেশার মানুষসহ অভিভাবকেরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধের আদেশ কতটা কার্যকর হবে, তা দেখার বিষয়। কারণ,  ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই আদেশ (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ) কার্যত বাস্তবায়ন হয়নি।  

এদিকে নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসারের ওই চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি নড়াইলের ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী এবং মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী ফেসবুকে উত্তেজনাকর পোস্ট দিয়েছে। ফলে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধে চারটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।  মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ আদেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলা ও শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন। পরিদর্শনকালে কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চারটি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-(১) মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না। (২) মোবাইল না আনার নির্দেশনাটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের তৎপর থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ চেক করা যেতে পারে। (৩) কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তা নিয়ে নেয়াসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। (৪) মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না আনার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ঈদের ছুটির পর নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ভারতের বিতর্কিত রাজনৈতিক নেত্রী নুপুর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসসহ অভিযুক্ত ছাত্রকে জুতার মালা পরানো হয়।

এছাড়াও সম্প্রতি মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শিক্ষা অফিসসহ এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।





শিক্ষা এর আরও খবর

শিক্ষার উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করা -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করা -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
মাগুরায় শিক্ষা উপকরণ পেল ২৭০ শিক্ষার্থী মাগুরায় শিক্ষা উপকরণ পেল ২৭০ শিক্ষার্থী
মাগুরা জেলা পুস্তক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত মাগুরা জেলা পুস্তক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
মাগুরায় দুস্থ  ও  মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে  অনুদানের চেক বিতরণ মাগুরায় দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
মাগুরায় সরকারি বালক বিদ্যালয়ে  জামায়াত প্রার্থীর রাজনৈতিক প্রচারণার  অভিযোগে  শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  ও স্মারকলিপি পেশ মাগুরায় সরকারি বালক বিদ্যালয়ে জামায়াত প্রার্থীর রাজনৈতিক প্রচারণার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ
পাইকগাছায় উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ -আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্বোধন পাইকগাছায় উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ -আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্বোধন
পাইকগাছার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দিরসহ খুলনার চার কলেজ থেকে পাশ করেনি কেউ পাইকগাছার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দিরসহ খুলনার চার কলেজ থেকে পাশ করেনি কেউ
খুলনায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খুলনায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ
মাগুরায়  বিনামূল্যে বই পেল ৫০ অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী মাগুরায় বিনামূল্যে বই পেল ৫০ অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী
খুলনায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন খুলনায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)