শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০

SW News24
রবিবার ● ১৭ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » উপকূল » কয়রার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৫ গ্রাম প্লাবিত
প্রথম পাতা » উপকূল » কয়রার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৫ গ্রাম প্লাবিত
২৮০ বার পঠিত
রবিবার ● ১৭ জুলাই ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কয়রার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৫ গ্রাম প্লাবিত

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল,  কয়রা ; খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরামুখা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে আতংকে রয়েছেন পার্শ্ববর্তী উত্তর বেদকাশী  ইউনিয়নের ৩গ্রামের মানুষ ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন বাসী। 
 জানা গেছে, শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে কপোতাক্ষ নদের অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুর্বল বেঁড়িবাধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। জোয়ারের পানি যতই নামতে থাকে প্রথমে বড় চর ও বেড়িবাঁধ তত দ্রুতই ভাঙতে থাকে।  মুহূর্ত্বের মধ্যে প্রায়  ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হযে যায়। সকালে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মেরামতের চেষ্টা করলেও দুপুরের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মুহূর্ত্বের মধ্যে প্লাবিত হয় চরামুখা, দক্ষিণ বেদকাশী, চরামুখা গাইনবাড়ী, হলুদবুনিয়া, পদ্মপুকুর ও ঘড়িলাল গ্রামের একাংশ।  
ঐ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর ও বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের সভাপতি মুকুল বিশ্বাস বলেন, পূর্ণিমার কারণে সৃষ্ট প্রবল জোয়ারের স্রোতে খুলনার উপকূলবর্তী এলাকা কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা নামক স্থানে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী বেড়িবাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং কয়েকশ একর  মৎস্য ঘের ডুবে গেছে। তাৎক্ষণিক মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে। ঐ মনিটরিং কমিটির তত্বাবধানে বিকালে এলাকার লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করা হবে। যদি আটকানো সম্ভব না হয় তাহলে পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তারা। এ নিয়ে এলাকার হাজারো মানুষ আতঙ্কে আছেন।
---দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য খোকন সরদার ও মোজাফফর হোসেন বলেন, বেঁড়িবাধ দুর্বল থাকার কারণে জোয়ারের চাপে ভেঙ্গে গেছে। আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। না হলে ভাঙ্গন প্রবল আকার ধারণ করবে। পুরো দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে যাবে৷

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর) মোঃ মশিউল আবেদীন  বলেন, ওখানকার বাঁধ দূর্বল ছিল। জাইকার অর্থায়নে কাজ চলমান ছিল। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে  প্রায় ৩০০ মিটারের মতো বাাঁধ ভেঙ্গে ক্লোজার তৈরি হয়েছে। আমরা ভাঙ্গনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছি। পানি আটকাতে ইতোমধ্যে বাঁশ, সিনথেটিক বস্তা, পেরেক  সরবরাহ করা হয়েছে। ভাঙ্গন যদি আরো গভীর না হয়, আশা করা যায় আগামীকালের ভেতর পানি আটকানো সম্ভব হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)