শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

SW News24
সোমবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » মাগুরার মাঠে মাঠে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক
প্রথম পাতা » কৃষি » মাগুরার মাঠে মাঠে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক
৭৫ বার পঠিত
সোমবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মাগুরার মাঠে মাঠে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক

---
শাহীন আলম তুহিন,মাগুরা থেকে : পৌষের শেষে মাঘের শুরুতে মাগুরা সদরের মাঠে মাঠে এখন বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক। কার্তিক-অগ্রহায়ণের হেমন্তের ধান ঘরে তোলার ১ মাস পর পরই কৃষক তার জমি সেচ দিয়ে প্রস্তুত করে। তারপর জমিতে পানি সেচ দিয়ে এ বোরো ধান বোনো হয়। সরজমিন সদরের মঘির মাঠে গিয়ে দেখা যায় ,সেখানের প্রতিটি ফসলের মাঠে কৃষক এখন েেবারো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমিতে ধানের চারা বুনছেন,আবার কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত। সদরের মঘী ইউনিয়নের কৃষক আলম মোল্যা বলেন,আমি এবার ১ একর ৩৬ শতক জমিতে বোরো আবাদ করেছি। আমার জমির অধিকাংশই ধানী জমি। ৩ ফসলি জমিতে বছরে ২ বার ধান রোপন করে প্রাং ৬০-৭০ মণ ধান পায়। এবার আগেই জমি প্রস্তুত করে সেচ দিয়ে চারা রোপন করেছি। পৌষের শেষে বোরো ধানের চারা করতে হয়। ৩ মাস পর বৈশাখ মাসে এ ধান উঠে। অন্যান্য ধানের তুলনায় এ ধানের ফলন খুবই বেশি। চারা গাছ রোপনের ২ মাস পর গাছ বড় হলে জমিতে সার ও সেচ ঠিক মতো দিতে হবে। সদরের চাউলিয়া  ইউনিয়ের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নামিজউদ্দিন বলেন,আমি এবার ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাণ করেছি। জমি প্রস্তুত করে পানি দিয়ে চলছে ধান রোপনের কাছ। এবার শীতের শুরুতে তীব্র কয়য়াশা থাকার কারণে ধানের বীজতলা অনেক নষ্ট হয়েছে তাই বিপাকে ছিলাম ধানের চারা নিয়ে। এখন আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে বীজের কোন ক্ষতি হয়নি। তাই ধানের বাম্পার ফলনের আশাবাদী আমি। সদরের ছয় চার গ্রামের শকিুল ইসলাম বলেন,আমি আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। ধান রোপনের কাজ শেষ। প্রতি বছর আমি আশানুরুপ ফলন পায় বোরো ধান থেকে। এবারও ভালো ফলন পাব।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডক্টর ইয়াসিন আলী বলেন,এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে বোরো ধান ভালো হবে । ইতিমধ্যে জেলার কৃষকরা এ ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন । এবার জেলায় মোট ৩৯ হাজার ৯৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে । এবার জেলায় ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন হবে বলে আশারাখি। চলতি বছর সদরে ১৬ হাজার ৮৬১ হেক্টর,শালিখায় ১৩ হাজার ৫৭০ হেক্টর,শ্রীপুরে ১ হাজ্রা ৬০৫ হেক্টর ও মহম্মদপুরে ৭ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ; করা হয়েছে । এবার চাষীরা ব্রি ধান-৯২,৯৮,১শ’ চিনা-২৫ ও সিনজেনটা-১২০২ জাতের ধান বেশি রোপন করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে এবার জেলার ৮ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)