শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
শুক্রবার ● ৭ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » বাঙালি রান্নায় ধনেগুঁড়া ও ধনেপাতা
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » বাঙালি রান্নায় ধনেগুঁড়া ও ধনেপাতা
৭৬ বার পঠিত
শুক্রবার ● ৭ মার্চ ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাঙালি রান্নায় ধনেগুঁড়া ও ধনেপাতা

---  ধনিয়া বা ধনে একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। এটি একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। এর বীজ থেকে বানানো তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়। ধনের বীজ খাবারের মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ধনের পাতা এশীয় চাটনি ও  সালসাতে ব্যবহার করা হয়। ধনিয়া দৈনন্দিন খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে। সব ধরনের তরকারিতেই ব্যবহার করা যায়। ধনিয়ার বীজও বিভিন্ন মুখরোচক খাবারে সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

ধনিয়া পাতা জন্য সারা বছর চাষ করা যায়। ধনিয়া পাতা জন্য সেপ্টেম্বর-মার্চ মাসে এবং বীজের ক্ষেত্রে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বপন করা হয়। বীজের ক্ষেত্রে শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া প্রয়োজন। এই জন্য বীজের ক্ষেত্রে শীতকাল বা রবি মরশুমে চাষ করা উত্তম। ধনিয়া বীজের ক্ষেত্রে গাছে ফুল আসার সময় মেঘলা আকাশ, বৃষ্টিপাত বা কুয়াশা হলে রোগপোকার আক্রমণ হয় এবং বীজ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
প্রায় সব ধরনের মাটিতে ধনিয়া চাষ করা যায়। তবে বেলে দো-আঁশ থেকে এটেল দো-আঁশ মাটি ধনিয়া চাষের জন্য উপযোগী। ধনিয়া চাষের জন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। মাটির প্রকারভেদে ৪-৬টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হয়। বীজ বপনের আগে পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ ছিটিয়ে বপন করলে হেক্টরপ্রতি ৮ কেজি বীজ ব্যবহার করতে হয়। মিশ্র ফসল হিসেবে সার পদ্ধতিতে বপনের জন্য ৪-৫ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। বীজ ফসলের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ সেন্টিমিটার পর পর একটি চারা রাখতে হয়। নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হয়। প্রতিবার সেচের পর জমির জো আসা মাত্র মাটির চটা ভেঙে দিতে হয়। ধনিয়ার জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হয়।

বাঙালি রান্নায় ধনেপাতা ও ধনেগুঁড়া অন্যতম উপাদান। এর সুঘ্রাণ ও ভেষজ গুণ দারুণ। ধনিয়া ভিটামিন সি, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, আমিষ, ভিটামিন বি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে ইত্যাদি উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই ধনিয়ার বীজ পানিতে ভিজিয়ে খেলে হৃদরোগ, পেটব্যথা, ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি হ্রাস, রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস, বদহজম থেকে মুক্তি মেলে। প্রস্রাবের ইনফেকশন বা সংক্রমণের কারণে জ্বালাভাব দূর করতেও ধনিয়ার পানি কার্যকর। নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং প্রদাহ দূর হয়।





আর্কাইভ