শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

SW News24
রবিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কলার আবাদ বেড়েছে
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কলার আবাদ বেড়েছে
৪৯ বার পঠিত
রবিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কলার আবাদ বেড়েছে

--- স্বল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় পাইকগাছা বাণিজ্যিকভাবে কলার আবাদ বেড়েছে। বিভিন্ন জাতের কলা চাষে সচ্ছলতা ফিরেছে কৃষক পরিবারে।

উপকূলের পাইকগাছার মাটি ও আবহাওয়া কলা চাষের উপযোগী। এ অঞ্চলের কৃষক বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করছেন। একবার কলা চারা রোপণ করলে একটানা তিন বছর ভালোভাবে ফলন দিতে পারে। যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব হয় না।

পাইকগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে  হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের কলা আবাদ করা হয়েছে। উপকূলের লবনাক্ত এলাকার গদাইপুর, হরিঢ়ালী, কপিরমুনি ও রাড়ুলী ইউনিয়ানে সবচেয়ে বেশি কলা চাষ হয়। বিভিন্ন জাতের কলা আবাদ হয়েছে। যেমন, সম্পূর্ণ বীজমুক্ত কলা; সবরি, অমৃতসাগর, অগ্নিশ্বর, দুধসর, দুধসাগর, দু-একটি বীজযুক্ত কলা; যেমন-চাম্পা, চিনিচাম্পা, কবরী, চন্দন কবরী, জাবকাঠালী, বীজযুক্ত কলা; এটেকলা,কাঁচ কলা, সাংগী আইটা,বিচি কলা, আনাজি কলা ইত্যাদি।

কলা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় ফলটি উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। কলাচাষিরা বলছেন, একবার চারা রোপণ করে ২৪ মাসে ৩ বার কলার ফলন পাওয়া যায়। খরচ কম অথচ লাভ বেশি, তাই পাইকগাছার চাষিরা কলা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ধান, পাটসহ প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম খুবই কম। বিক্রির ক্ষেত্রেও ঝামেলা নেই। কলার বাজারদর সহজে ধস নামে না। তাছাড়া সারা বছরই কলার চাষ করা যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন বলেন, উপজেলায় উৎপাদিত কলার মান বজায় রাখতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কলা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় এলাকার অন্য কৃষকরাও কলা আবাদের কথা ভাবছেন। কলাচাষিদের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে থাকছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও কৃষকদের কলাতে কার্বাইড ও বিষ স্প্রে না করার জন্যও পরামর্শ দেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)