

সোমবার ● ২ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » মাগুরায় পাট চাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা
মাগুরায় পাট চাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় আগাম পাট চাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন জেলার পাট চাষীরা। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার পাটের বাম্পার ফলনের আশাবাদী পাটচাষীরা। নিদিষ্ট সময়ে বৃষ্টি ও কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকার কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাট উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগ বিভাগ আশা করছে।
জেলা কৃষিবিভাগ বলছে ,দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার গুলোর মধ্যে পাট চাষে মাগুরা এগিয়ে রয়েছে। প্রতি বছর এ জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দিগুন পাট উৎপাদন হয় । চলতি বছর জেলায় ৩৪ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে চাষের আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে সদরে ১০ হাজার ২শ’ হেক্টর,শ্রীপুরে ৯ হাজার ১শ’ হেক্টর,মহম্মদপুরে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর ও শালিখায় ৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের ফলন বাড়াতে চলতি বছর জেলার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। পাট চাষে আগ্রহ বাড়াতে পাট চাষীদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলার শ্রীপু উপজেলার সদ্বালপুর ইউনিয়নেরবাখেরা গ্রামের কৃষক মনিরুল জানান, এবার আমি ৯ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। পাট চাষে খরচ কম তবে পরিশ্রম বেশি। ৯ বিঘা জমিতে এবার পাট চাষে আমার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আবহাওয়া ও নিদিষ্ট সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়াতে এবার পাটের ফলন খুবই ভালো। ইতিমধ্যে জমির পাট ২-৩ হাত লম্বা হয়েছে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসের শেষে পাট কাটা শুরু হবে।
সদরের চাউলিয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নাজিমউদ্দিন বলেন,এবার আমি ৪ বিঘা জমিতে পাটের আবাদা করেছি। ইতিমধ্যে পাট লম্বা হতে শুরু করেছে। গত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন হবে বলে আশারাখি। পাট কাটা শুরু হলে নদীতে পাট জাগ দেওয়ার কাজ করি। তারপর ১ মাস পর আঁশ ছাড়িয়ে পাটকাঠি ও পাট পেয়ে থাকি। নিদিষ্ট সময়ে নদীতে পানি থাকলে পাটের রং খুবই ভালো হয়। আর যদি পারি না থাকে তবে পাট পচাতে দেরি হয়। ফলে পাটের রং ভালো পাওয়া যায় না।
সদরের নরসিংহহাটি গ্রামের জামিল নামে এক কৃষক জানান,চৈত্র মাসের শেষে জমিতে ভালো ভাবে সেচ দিয়ে পাটের বীজ বুনেছি। বীজ বোনার এক মাস পর চারা গাছ বড় হলে ক্ষেতের পরিচর্যা বাড়ায়। এখন জ্যৈষ্ঠের শেষে আমার ক্ষেতের পাট ৩-৪ হাত লম্বা হয়েছে। এবার আমি ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাট কাটার সময় শ্রমিকের অভাব দেখা দেয় আমাদের অঞ্চলে। তাই এ চাষে পরিশ্রমের চেয়ে লাভের পরিমান খুবই কম থাকে। তাই এ চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে মানুষ।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচারক তাজুল ইসলাম বলেন,মাগুরা পাট চাষে খুবই অগ্রসর। এবার আবহাওয়া অনুক’লে থাকার কারণে চাষের বাম্পার ফলনের আশা আমাদের। চলতি বছর সদর ও মহম্মদপুরে বেশি পাট চাষ হয়েছে। আমরা পাট চাষে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করেছি। মাঠ পয়ায়ে পাটের ফলন বাড়াতে আমাদের ব্লক সুপারভাইজাররা মাঠে গিয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে।