

মঙ্গলবার ● ৩ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » মাগুরায় শেষ মুহুর্তে পশুর হাট জমজমাট ; ক্রেতা কম, হতাশ খামারিরা
মাগুরায় শেষ মুহুর্তে পশুর হাট জমজমাট ; ক্রেতা কম, হতাশ খামারিরা
শাহীন আলম তুহিন ,মাগুরা থেকে : মাগুরায় আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে জেলার পশুহাট গুলো শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে। মাগুরা সদরের রামনগর ,কাটাখালি,আলমখালি,ইছাখাদা,আলোকদিয়া ও ইটখোলা পশুর হাট গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় কম দেখা গেছে। তবে হাট মালিকরা বলছেন শেষের ২-৩দিন হাটে ক্রেতাদের ভিড় বেশি হবে। সেই লক্ষ্যে হাট মালিকরা সেরা মানের পশু রাখতে চান বলে জেলার খামারিদের প্রতি জোর আহবান জানিয়েছেন।
শেষ মুহুর্তে গ্রামের খামারিরা উপযুক্ত দামটি পেতে পশুর হাটে সর্ব্বোচ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক ক্রেতারা আবার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে তাদের পছন্দের পশুটি ক্রয় করছেন। আবার কেউ কেউ পছন্দের পশু কিনতে ছুটছেন বিভিন্ন হাটে। আগামী শনিবার হবে কোরবানি ঈদ। আর মাত্র ২-৩ দিন বসবে হাট। জানা গেছে, মাগুরা সদরের কাটাখালি হাট বসবে বুধবার, বৃহস্পতিবার বসবে আলোকদিয়া ও আলমখালির হাট এবং শুক্রবার জেলা সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসবে রামনগর। তাছাড়া সদরের ইটখোলা বাজারে প্রায় প্রতিদিনই বসছে পশুর হাট । ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে জেলার খামারিরা ভালো মানের পশু হাটে বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন । রামনগরের হাট ইজারাদার নুরে আলম দিপু জানান,গত বছরের তুলনায় এবার হাটে পশু চাহিদা বেশি থাকলেও ক্রেতা খুবই কম। এতে বেশি হতাশ খামারিরা। অনেক খামারিরা একটি পশুকে ২-৩ টি হাটে এনে বিক্রির জন্য সময় কাটাচ্ছেন। তবে শেষ মুর্হুতে শুক্রবার হাটের দিকে বেশি নজর খামারিদের। আশা রাখছি এদিন পশু ভালো বিক্রি হবে। মঙ্গলবার সরজমিন সদরের ইছাখাদা পশু হাটে গিয়ে দেখা গেছে ,পর্যাপ্ত পরিমানে পশু আছে হাটে কিন্তু ক্রেতা না থাকায় হতাশ হচ্ছেন খামারিরা। সদরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে নছিমন ভাড়া করে হাটে পশু নিয়ে আসছেন বিক্রিতারা। কিন্তু পশু কম থাকায় হাট মালিক ও খামারিরা পড়ছেন বিপাকে।
পশু কিনতে আসা শিক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আমি ৭ ভাগে কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি গরু কিনতে এসেছি। এ হাটে অনেক গরু দেখলাম কিন্তু আমার চাহিদার তুলনায় দাম অনেক বেশি তাই কিনতে পারছি না। আমি বিভিন্ন গ্রামে গরু দেখেছি সেখানে তুলনামুলক দাম কম কিন্তু সেই গরু হাটে কিনতে আমার আরো ১০ হাজার টাকা বেশি লাগছে। তাই ভাবছি গ্রামের কোন খামারির কাছ থেকে গরু ক্রয় করবো। ক্রেতা ফারুকুর রহমান বলেন, এবার আমার টার্গেট ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার দামের গরু কিন্তু হাটে গরুর দাম খুবই বেশি । আমার গ্রামে গ্রামে ঘুরে অনেক গরু দেখছি কিন্তু হাটে দাম বেশি হওয়ায় গরু মেলাতে পারছি না। সদরের রায় গ্রামের খামারি হাজের আলী বলেন, আমি বিভিন্ন হাট ঘুরে এবার ইছাখাদা হাটে এসেছি গরু নিয়ে। একটু ভালো দামের আশায় এ হাটে আমার আসা। বর্তমানে আমার গরুটি ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দাম হয়েছে । তবে আমি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হলে ছেড়ে দেব। কিন্তু এ হাটে ক্রেতা কম থাকার কারণে হতাশ হচ্ছি।
এদিকে,জেলার বিভিন্ন হাটে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে । সুস্থ পশু নিয়ন্ত্রনে বিভিন্ন হাটে জেলা প্রানী সম্পদের ভ্রাম্যমান টিম কাজ করছে ।