

বৃহস্পতিবার ● ১০ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে আষাড়ের টানা বৃষ্টিতে আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ, চাষীরা বিপাকে
কেশবপুরে আষাড়ের টানা বৃষ্টিতে আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ, চাষীরা বিপাকে
এম আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে বর্ষার প্রথম মাস আষাড়ের টানা বৃষ্টিতে আমন আবাদের বীজতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আগাম আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষীরা।
বর্ষা মৌসুমের মাস আষাড়ের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে রিমঝিম বৃষ্টি। বিরতিহীন ভাবে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল পানিতে ডুবে জলাবদ্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব অঞ্চলের চাষীরা আগাম রোপনের জন্য যে সব বীজতলা তৈরী করেছিলো তার অধিকাংশই পানিতে তলিয়ে গেছে। যার ফলে আগাম আমন আবাদে নিয়ে কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে চাষী পর্যায় ৪৯০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধান চাষীরা নিজেদের সুবিধামত জায়গায় ইতোমধ্যেই উফসি ও হাইব্রিড জাতের ধানের ২১৬ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে উফসি জাতের ৩৯, ৪৯, ৭৫, ৮৭, ৯০ এবং উচ্চ ফলশীল হাইব্রিড জাতের মধ্যে ৯৪, ১০৩, সিনজেন্টার উইং ২০৭ ও এজেড-৭০০৬ রয়েছে। ফেলে রাখা জমিতে আগে চারা রোপনের জন্য কৃষকেরা উচু ও ডাঙ্গা জমিতে এসব ধানের আগাম বীজতলা তৈরী করেন। কিন্তু ঋতুর বৈরীতায় এসব বীজতলার মধ্যে ১২ হেক্টর জমির বীজতলা সম্পুর্ণ ও আরো প্রায় ৫০ হেক্টর জমির বীজতলা আংশিক ক্ষতিহগ্রস্থ হয়েছে। ফলে কৃষকরা আগাম রোপন নিয়ে পড়েছে চমর বিপাকে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টানা বৃষ্টিতে কৃষকের কিছু বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সামনে বীজতলা তৈরীর মৌসুম থাকায় তারা নতুন করে আবার বীজতলা তৈরী করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।