

বুধবার ● ২৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় অতিবৃষ্টি ও রৌদ্রতাপে নার্সারীতে ৭০ লাখ টাকার চারা মরে গেছে
পাইকগাছায় অতিবৃষ্টি ও রৌদ্রতাপে নার্সারীতে ৭০ লাখ টাকার চারা মরে গেছে
অতিবৃষ্টি ও রৌদ্রতাপে পাইকগাছায় নার্সারীতে গাছের চারা মরে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার নার্সারীর প্রায় পাঁচ লাখ চারা ক্ষেতে জমে থাকা পানিতে গোড়া পচে নস্ট ও রৌদ্র তাপে শুকিয়ে মরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে নার্সারী মালিকরা জানান।
এবছর আষাঢ় মাসের শুরু থেকে একটানা বৃস্টি ছিলো। আষাঢ়ের পর শ্রাবণ মাসেও টানা অতিবৃষ্টিতে নার্সারী চারার ক্ষেতে পানি জমে থাকায় গাছের গোড়া পচে ও পাতা হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে। পানি নেমে যাওয়ার পর প্রখর রৌদ্রের তীব্র গরমে চারা মরে শুকিয়ে গেছে। অতিবর্ষণে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে নার্সারী আম, কাঠাল,কতবেল, নিম, লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় ও রেনু চারা মরে গেছে।
উপজেলার সরল গ্রামের নার্সারী মালিক মিজানুর রহমান বলেন, তার ক্ষেতে আশফল, কতবেল, লিচু ও শিউলী ফুলের চারা মরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। রজনীগন্ধা নার্সারী মালিক সুকনাথ পাল বলেন, তার ক্ষেতে ৫০ হাজার ছোট চারা, ৫ হাজার নিম ও ৫ হাজার বিভিন্ন জাতের বড় চারা মরে প্রায় দুই লাখ ত্রিশ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কৃষিতে অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন সততা নার্সারীর মালিক অশোক কুমার পাল। তিনি জানান, তার নার্সারীতে কাঠালের চারা ১০ হাজার, নিম ৭ হাজার, আম ২০ হাজারসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা মরে প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার গদাইপুরে বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেছে তিন শতাধিক নার্সারি। তাছাড়া ১০ শতক থেকে এক বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে প্রায় দুই শতাধিক নার্সারি। গ্রামের চারদিকে যেন সবুজের সমাহার। গদাইপুরে ঢুকলে চোখে পড়ে ক্ষেতের পর ক্ষেত নার্সারি। বাড়ির সামনে-পেছনে ও আশপাশে নার্সারি গড়ে তুলেছেন সবাই। নার্সারির সামনে আছে সাইনবোর্ড লাগাানো। ক্ষেতে নানা রকমের ফুল, ফল ও মসলার চারা। বাড়ির ভেতরে গড়ে তোলা নার্সারিতে চারা কেনাবেচার দৃশ্যও নজর কাড়ে। গদাইপুর এলাকার তৈরী কলম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে।
উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সদস্য জানান, অতিবৃষ্টি ও রৌদ্রতাপে পাইকগাছার নার্সারী মালিক সমিতির সকল মালিক কম-বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এবছর চারার ব্যাপক চাহিদা ছিলো ও রয়েছে তবে, অতিবৃস্টি ও তাপে চারা মরে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে।