

বৃহস্পতিবার ● ২৪ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » পাইকগাছার শিবসা নদীর ওপর বাইনতলায় সেতু নির্মাণ কাজ দ্রুত এগোচ্ছে
পাইকগাছার শিবসা নদীর ওপর বাইনতলায় সেতু নির্মাণ কাজ দ্রুত এগোচ্ছে
খুলনার পাইকগাছার শিবসা নদীর ওপর বাইনতলায় সেতু নির্মাণ কাজ ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। ব্রিজের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে খুলনার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আশপাশের পাঁচটি উপজেলা নতুন ভাবে যুক্ত হবে। এতে বদলে যাবে এ উপকূল অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা জিসি, লস্কর বাজার, বাইনতলা, বগুড়ারচক, শুড়িখালী, ভান্ডারপোল, গিলাবাড়ী জিসি সড়কের দুই হাজার তিনশত মিটার নির্মিতব্য সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৪৮ মিটার এবং প্রস্থ ৯.৮ মিটার।প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ১২০ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (এনডিই)। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়, যা ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। এখন পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
লস্কর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্রিজটি নির্মিত হলে যাতায়াতে আমূল পরিবর্তন আসবে। তবে নির্মাণসামগ্রী বহনের ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাইনতলা বাজারের সড়কও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির সময় সেখানে চলাচল প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া ব্রিজের রোড সংযোগ গিলাবাড়ীর পরিবর্তে গড়ইখালীর দিকে হওয়ায় লস্করবাসী তেমন উপকৃত হবে না।
উপসহকারী প্রকৌশলী সজল বিশ্বাস বলেন, ব্রিজের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। আমরা একটি গোলচত্বর নির্মাণের পরিকল্পনা করছি, যাতে গড়ইখালী, খড়িয়া, কয়রা এবং বড়দাল-আশাশুনি এলাকার মানুষের ব্রিজে উঠতে সুবিধা হয়।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাহেব আলী বলেন, ব্রিজের কাজ ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। ব্রিজের দুই পাশে তিন একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিসি অফিসে পাঠানো হয়েছে।
পাইকগাছা উপজেলা প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব বলেন, সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার, প্রস্থ ৯.৮ মিটার। মোট ২৪০টি পাইলের মধ্যে ২২৭টি শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামী বছরের শেষ দিকে নির্মাণকাজ শেষ হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ব্রিজটি নির্মিত হলে পাইকগাছাসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। কাজ দ্রুত এগোচ্ছে, নির্ধারিত সময়েই উদ্বোধন সম্ভব হবে বলে আশা করছি।