শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

SW News24
মঙ্গলবার ● ২২ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আশাশুনিতে জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আশাশুনিতে জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
১৬ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২২ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আশাশুনিতে জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

 ---বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এই অঞ্চলে সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধ ভাঙন, অধিক ও অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা, খরা এবং ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এমন প্রেক্ষাপটে স্থানীয়ভাবে জলবায়ু সচেতনতা বৃদ্ধি, সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় নির্ধারণের জন্য গঠিত হয় আশাশুনি উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম।

 

এই ফোরামের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায়, ২২ জুলাই ২০২৫, সকাল ১১টায়, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় লিডার্স  আশাশুনি উপজেলা কার্যালয়ে ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুল হান্নান। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সদস্য বিমল কৃষ্ণ মণ্ডল, বনমালী দাস, রতন অধিকারী, মিনতি রানী সরকার, কল্যাণী সরকার সহ আরও অনেকে।

 

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রতিদিনই উপকূলবাসীর জীবনে নানাভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে। কৃষি, পানীয়জলের সংকট, স্বাস্থ্য সমস্যা, শিক্ষা ব্যাহত হওয়া এবং নিরাপদ আবাসনের অভাব সব কিছু মিলিয়ে উপকূলবাসী এক কঠিন বাস্তবতায় বসবাস করছে। সভায় জলবায়ু অভিযোজন ও স্থানীয় সহনশীলতার ভিত্তিতে একটি বাস্তবসম্মত ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়, যাতে ভবিষ্যতের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ফোরাম কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

 

সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন “জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাব আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে দৃশ্যমান। এ বাস্তবতা দেশের অন্য প্রান্তে বোঝা না গেলেও এখানে প্রতিটি পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত। লিডার্স স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই সংকটের চিত্র তুলে ধরছে এবং আমরা সকলে মিলে এই প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে চাই। প্রকৃতিকে রক্ষা না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও বড় সংকটে পড়বে। তাই আমাদের মতের পার্থক্য থাকলেও বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

 

সভায় আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও স্থানীয় পরিস্থিতি, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, নিরাপদ পানি ও কৃষি ব্যবস্থায় অভিযোজ, ছয় মাস মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রশাসন ও নীতি-নির্ধারকদের কাছে সুপারিশ পেশের প্রস্তুতি|

 

সভা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, ফোরামের গৃহীত কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণে প্রতি তিন মাস পর  অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)